ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে তিনি লেখেন, ‘আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশেই আছে। আতঙ্কিত হবেন না, সতর্ক থাকুন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয় আমাদের হবেই।’
জয় বলেন, বাঙালী জাতি সহনশীল ও সাহসী। অনেক বড় দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।
‘সব নির্দেশনা মেনে চললে, এই সংকটও আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারবো। এই মুহূর্তে গুজব থেকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সকল তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিদিনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় আরও বলেন, আপনারা জানেন নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় ১৮০টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, তাই ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বলেন তিনি।
‘৪টি বাদে বাংলাদেশে আসা সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিদেশফেরতদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সজাগ আছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা,’ বলেন জয়।
‘জনস্বার্থে আমরা মুজিববর্ষের কার্যক্রম সীমিত করেছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতেও আমরা প্রস্তুত আছি।’
জয় বলেন, আমাদের চিকিৎসা সেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। ভাইরাসটি পরীক্ষা করার সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি। আইইডিসিআর ব্যাতিত আরও তিনটি হাসপাতলে বর্তমানে চিকিৎসার সুবিধা আছে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই ভাইরাসের উপসর্গসহ রোগীদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যার যার জায়গা থেকেও আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে বাসায় থাকতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নাকে, মুখে ও চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে। হাত মেলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্ভব হলে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রাখার সবচেয়ে কার্যকর দুটি উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রেখে চলা।