তিনি বলেন, ‘এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরেই চালু হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছে।’
তার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
অনিয়ম, দুর্নীতি ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীর প্রতি অবমাননা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার মধ্য দিয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।
আইনের বিধান কঠোরভাবে কার্যকর হলে অপরাধীরা ভয় পাবে এবং এসকল ঘৃন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এসময় সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধীদের আশ্রয়- প্রশ্রয়দান বন্ধ করতেএবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের পথও চিরতরে বন্ধ করার আহবান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতনের রেকর্ড করেছিল, তখনকার সময়ে পূর্ণিমা, রহিমা, মাহিমা, ফাহিমাসহ হাজারো নারী নির্যাতিনে শিকার হয়েছিল, বিএনপি তাদের বিচারতো করেনিই বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরন সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছিল।
‘২০০৪ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি তখন বিচারতো করেইনি উল্টো পদে পদে বাধাগ্রস্ত করেছিল,’ বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও বিচারের পথ বন্ধ করার জনক বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন কোনো অপরাধী অপরাধ করে রেহাই পায় না,অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, দলীয় পরিচয় থাকলেও রেহাই দেয় না সরকার।
একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশে বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের দেশবাসীকে এই মতলবি মহলের সকল অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান।