তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে দেশের স্বাস্থ্য খাতের কোনও প্রাধান্য নেই। দুর্নীতির এক মহোৎসব চলছে। তাদের প্রাধান্য একটাই তারা মেগা প্রকল্প তৈরি করবে এবং মেগালুট করবে।’
বিএনপি-সমর্থক ও নেতৃত্বাধীন চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আয়োজিত এক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার কিট সংগ্রহের নামে দুর্নীতি অব্যাহত রাখতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট এখনও অনুমোদন দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, বর্তমান সরকার একটা একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার। একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার কখনও জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। কেবল একটি গণতান্ত্রিক সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থাই করোনা মতো বিশ্ব মহামারি মোকাবিলা করতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব তার দলের নেতা ও কর্মীদের এ দুঃসময়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মানুষকে বাঁচানো ও তাদের জীবিকাকে রক্ষা করার আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়ছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, হাসপাতালগুলোতে জনগণ কোনো সেবা পাচ্ছেন না।
‘চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকদের যে ধরনের সুরক্ষা দেয়া দরকার তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে সরকার,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আগে থেকেই তার দল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা দিতে যেসব চিকিৎসা নিয়োজিত আছেন তাদেরকে বড় বড় হোটেলগুলোতে নিয়ে রাখার ব্যবস্থা করার কথা বলে আসছে।
সরকার করোনাভাইরাসের পরীক্ষা, নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার সঠিক তথ্যটাও দিচ্ছে না, মানুষ সঠিক তথ্য পাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এ ধরনের মহামারি মোকাবিলা করতে সবার কাছে যে জিনিসটা দরকার, সেটা হচ্ছে সঠিক তথ্য। তবে তারা মানুষকে সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে যে পরিমাণে পরীক্ষা করা হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। অপর্যাপ্ত পরীক্ষার কারণে সঠিক চিত্র উঠে আসছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার যদি প্রথম থেকে আন্তরিক হতো এবং সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবস্থাগুলো নিত তবে যে হারে সংক্রমণ বেড়েছে এবং প্রতিনিয়ত বাড়ছে তা সহজে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতো।
সংসদে উপস্থাপিত আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সময়ের মধ্যে সরকারের দেয়া এবারকার বাজেটটা বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালগুলোকে সক্ষমতা বাড়ানো কোনো পরিকল্পনা পরিলক্ষিত হয়নি।
সরকারের অবহেলার কারণে অক্সিজেনের সিলিন্ডার, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, তাদের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদরে দলের নেতাকর্মীরা দরিদ্র ও অভাবী মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে।
তাদের ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তায় প্রায় দুই কোটি লোকের কাছে পৌঁছে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।