এছাড়া কালিগঞ্জের চাম্পাফুল কেন্দ্র থেকে দুই বিএনপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে ভোটাদের অভিযোগ, তাদের ভোট দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। একই সাথে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমনকি সাতক্ষীরা-৪ আসনের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দরবন স্কুলকেন্দ্রে ককটেল ফাটিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে কিছু লোক।
অপরদিকে জেলা সদরের ধলবাড়িয়ায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই কর্মী তকদির হোসেন তোতা ও আবুল হোসেন। পরানদহা কেন্দ্রের ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মতিনুর রহমান কচি নামের একজন বিএনপিকর্মী এবং পায়রাডাঙ্গা কেন্দ্রে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ভোটার প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন। এছাড়া আলিপুর মাহমুদ কেন্দ্রে গোলাম হোসেন নামে একজন ইশা কর্মী আহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনের বিকল্পধারা প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা জানান, তার এলাকার কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের যেতে দিচ্ছে না নৌকার সমর্থকরা। কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
অনেক ভোটার জানিয়েছেন, তাদের ভোট আগেই কে বা কারা দিয়ে গেছে। কোনো কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো দলের এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা-২ আসনের ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী মুফতী রবিউল ইসলাম জানান, ভোট দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন তিনি।
সাতক্ষীরা-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা ডা. শহিদুল আলম জানান, সকাল ১০টার মধ্যে তার আসনের ১৫৩টি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীর জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো হাঙ্গামার খবর নেই।