ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা শওকত আলী লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইন্তেকাল করেন।
আজ বাদ মাগরিব তার জানাজা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সকাল ১০ টায় মরদেহ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নেয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নড়িয়া শহীদ মিনারে রাখা হবে।
বাদ জোহর নড়িয়া বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে নড়িয়ায় নিজ বাড়িতে স্বাধীনতা ভবনে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি এক শোক বার্তায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামি করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে তার একসাথে কারাবাস করার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান জাতি সব সময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। দেশ এক প্রবীণ জননেতাকে হারালো, আমি হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে, শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি এক শোক বার্তায় ব্যক্তিগতভাবে ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মরহুমের পরিবার-পরিজন, সন্তানসহ সবাইকে গভীর সমবেদনা জানান।