গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে তাবিথ আউয়াল দুপুর ২টার দিকে আগারগাঁওয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তাবিথ জানান, বিতর্ক এড়ানোর জন্য সিটি নির্বাচনে ইসির ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা উচিত নয়।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। ‘নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে, কারণ তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা এবং তাদের ভোট আদৌ গণনা করা হবে কিনা তা তারা নিশ্চিত নন।’
নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকার ঘোষণা দিয়ে তাবিথ বলেন, ‘পরিস্থিতির কারণে আমরা গতবার নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। এবার আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো। ’
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নগরীর গোপীবাগ এলাকার সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের অস্থায়ী কার্যালয়ে আবদুল বাতেনের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এসময় তার সাথে গতবার বিএনপির ডিএসসিসির প্রার্থী মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, ঢাকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইশরাক বলেন, বর্তমানে দেশ এক সঙ্কটময় সময় পার করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ‘আমরা সংঘবদ্ধভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করব।’
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসি যে ভুল করেছে আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জনে তারা দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছে।
শনিবার বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ইশরাক ও তাবিথকে বেছে নেয়।
তাবিথ আওয়াল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টুর ছেলে। এছাড়া তিনি ২০১৫ সালেও ডিএনসিসির নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ইশরাক বিএনপির সদস্য এবং অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল অনুসারে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, অন্যদিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ ২ জানুয়ারি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।
পুরো নির্বাচন ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।