শুক্রবার নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার স্বাধীনতার মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার-পরিজন এবং অন্যদের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ডিএসসিসি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, অবলা নারীকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে, টার্গেট করা হয়নি মেহেদি-রাঙা নববধূকে।
সে দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ, বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্টের প্রধান টার্গেট ছিলেন আমাদের ভৌগোলিক মুক্তির স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২১ আগস্টে প্রধান টার্গেট ছিলেন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা। দুটি ঘটনার কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এখনও চলছে।’
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী সব শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।