জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ড. কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার অনুসারীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। অভূতপূর্ব পেশী শক্তির ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়েছে।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান বলেন, ‘এ বছরটা জঘন্যভাবে শেষ হচ্ছে। নতুন বছরে আমরা সবাই মিলে আমাদের বৃহত্তর ঐক্যকে সুসংহত করে এ দেশকে বাঁচানোর জন্য যা যা করার, সব কিছু আমরা করব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
সংবিধান অনুযায়ী জনগণই ক্ষমতার মালিক জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে কি জনগণ সেই অবস্থায় আছে, তাদের ওপর নানা ধরনের আক্রমণ চালানো হচ্ছে। ‘দেশের অবস্থা নিয়ে সারা দেশের মানুষ গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছে।’
ড. কামাল বলেন, ‘একদলীয়, এক ব্যক্তির শাসনকে কেন্দ্র করে তারা পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে এগুলো করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা এতই লজ্জাকর একটা ঘটনা যে বছরের শেষে ছাত্রদের ওপরে এ ধরনের পূর্ব পরিকল্পিত আক্রমণ চালানো হলো। এ হামলার শিকার ছাত্ররা (নুর ও অন্যরা) মারা যেত পারত। এখনও মারা যেতে পারে। কেননা তারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিচার করার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে গণতন্ত্রের অভাবে সংবিধানের ওপর আক্রমণ হচ্ছে।
ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার এক হামলায় ডাকসু ভিপি নুরসহ কমপক্ষে ২৩ শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে নুরসহ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আহতদের মধ্যে তুহিন ফারাবিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে পরে আবার কেবিনে আনা হয়।