তিনি বলেন, ‘খারাপ যা কিছুই ঘটবে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সব বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়ার কৌশল নিয়েছেন। তাসভীর উল ইসলাম কুড়িগ্রাম বিএনপির সভাপতি এবং আমাদের নির্বাহী কমিটির সদস্য। এফআর টাওয়ারে আগুনের সাথে তার কি সম্পর্ক, তিনি জমির মালিকও নন, ডেভেলপারও নন।’
এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ‘এর পেছনে কারণ হলো জনগণকে দেখানো যে খারাপ যা কিছুই ঘটুক এর সাথে বিএনপি জড়িত। বিএনপির ওপর দায় চাপাতে তাসভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
শনিবার রাতে বারিধারার বাসা থেকে তাসভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এফআর টাওয়ারের একজন মালিক।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এর সদ্য প্রয়াত সভাপতি আবদুল মালেক, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো দুর্যোগ থেকে জনগণকে রক্ষা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের সাহায্য ও উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। ‘তিনি সবকিছুতেই বিএনপি ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন কেননা তার দলের কোনো জনসমর্থন নেই।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন সরকার বিএনপি নেতা তাসভীরের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে? তিনি তো ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়নের কাছ থেকে তিনটি ফ্ল্যাট কিনেছেন মাত্র। ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ভবনের ডেভেলপার রূপায়নের কথা বলছেন না, কেননা এর মালিক সরকারপন্থী ব্যবসায়ী।’
বিএনপি নেতা বলেন, ভবন নির্মাণের পর তাসভীর ফ্ল্যাট কিনেছিল। ‘তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঘটনার দায় তার ওপর চাপানো হচ্ছে। কিন্তু ভবনের ডেভেলপার নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
তিনি দাবি করেন, বনানীর ইকবাল টাওয়ার ইমারত আইন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু সরকার ওই মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না। কারণ ওইটার মালিক ক্ষমতাসীন দলের সাথে জড়িত।
সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এফআর টাওয়ারের আগুনে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ‘আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আধুনিকীকরণের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা ‘বিরোধীদের দমনে’ শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের গুলি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজ্জ্বিত করেছেন, কিন্তু জনগণর জীবন রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেননি।’