যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন উচ্চ রক্তচাপ:
বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলুন
চিকিৎসকরা বলেন, অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার উচ্চ রক্তচাপ। ২২ পাউন্ড ঝরালে ১ মিলিমিটার/পারদ উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের কোমরের মাপ যদি ৪০ সেন্টিমিটারের বেশি হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীর কোমরের মাপ যদি ৩৫ ইঞ্চির বেশি হয়, অবিলম্বে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা করুন
সপ্তাহে ১৫০ মিনিট অর্থাৎ পাঁচদিন ৩০ মিনিট করে হালকা থেকে ভারি শরীরচর্চা করুন। ব্রিস্ক ওয়াক, মানে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটলে, সাইক্লিং করলে অথবা সাঁতার করলে শরীর-মন দুটোই চনমনে থাকে। এর প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন
বাজার থেকে যখন জিনিস কিনবেন, প্যাকেটের গায়ে থাকা উপাদান কী অনুপাতে রয়েছে দেখে নিন। অবশ্যই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, শাক সবজি, ফল, পানি প্রচুর পরিমাণে খান। কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন খাওয়া বাড়ান।
ডায়েট থেকে বাদ দিন সোডিয়াম
খাবার পাতে আলগা লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম খাবেন না। রান্নায় যথাসম্ভব লবণ কমিয়ে দিন। প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করুন। ফ্রেশ রান্না করা খাবার খান।
অবিলম্বে ধূমপান ছাড়ুন
ধূমপান পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে স্বাভাবিক নিয়মেই হার্টের অবস্থার উন্নতি হবে।
কফি পান করুন কম-কম
যারা নিয়মিত কফি খান, তারা হয়তো তেমন বুঝতে পারবেন না বদলটা। কিন্তু যাদের সেই অভ্যাস নেই, তারা হঠাৎ এই অভ্যাস ধরবেন না। আপনি নিজে কীভাবে বুঝবেন তা? কফি পানের ৩০ মিনিট আগে একবার রক্তচাপ মাপুন। তারপর কফি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মাপুন, নিজের চোখেই দেখতে পাবেন পার্থক্যটা।
স্ট্রেস লেভেল কমান
মানসিক চাপ থেকে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এবার চাপ কমানো আপনার হাতেই অনেকটা। মানসিক চাপ, উদ্বেগ আসতে পারে, এ ধরনের পরিস্থিতি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। অনেক বেশি উচ্চাশা থাকলে মানসিক চাপ হবেই। আপনি যা কিছু নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তা নিয়েই কাজ করুন।
ঘরেই নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন
এখন রক্তচাপ মাপার ডিজিটাল যন্ত্র সবার ঘরে ঘরেই থাকে। নিয়মিত তাতে আপনার রক্তচাপ মাপুন, একটু কম বেশি হলে ক্ষতি নেই। তবে হঠাৎ অনেকটা ফ্লাকচুয়েট করা শুরু করলে অবশ্যই চিকিৎকের পরামর্শ নিন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।