আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৫৬৮
আধুনিক সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে আগের চেয়ে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে বর্তমানে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় অনেক বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার বোস।
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৭২৬
শনিবার সকালে হাসপাতালে গেলে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স জানান, ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা ছিল ৪১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে চলে গেছে নয়জন। ওই ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা রয়েছে মাত্র ২০টি।
শিশু ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স জানান, শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ৩০ জন। সকালে আরও তিনজন ভর্তি হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ১০টি। সেখানে গাদাগাদি করে শিশু রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৮৮২
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ইমরানের মা আমিনা বেগম বলেন, ‘ছয় মাস বয়সী ইমরানের হঠাৎ পাতলা পায়খানা শুরু হয়। তারপর শুক্রবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করার পর কিছুটা কমেছে।’
তিনি জানান, এ রকম ছোট ছোট বাচ্চা আরও অনেক ভর্তি হচ্ছে। আবার অনেকেই বিছানা সংকটের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. অমল বোস জানান, শীতে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৭৪৬
তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে শীতে শিশুদের এ জাতীয় রোগ বেড়ে যায়। দেরি না করে ডায়রিয়া শুরুর সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. এনামুল হক জানান, ডায়রিয়ায় খাওয়ার স্যালাইনের বিকল্প নেই। এ সময় মায়েদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। মায়েদের ভূমিকা চিকিৎসকের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কুয়াশায় শিশুদের ঘরের বাইরে বের করা যাবে না। অবশ্যই গরম কাপড় পরাতে হবে। কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে শৌচকার্য করাতে হবে।
বর্তমানে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৬০, নারী ওয়ার্ডে ৬৫, নবজাতক ওয়ার্ডে ৮ ও গাইনিতে ৩২ জন আছেন।