তারা বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে ‘মানসিক স্বাস্থ্য: সবার জন্য, সবখানে’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন।
বর্তমান বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন দিক এবং গুরুত্ব নিয়ে রবিবার রাতে অ্যাকশনিস্ট-এর ফেসবুক পেজে এ আলোচনা প্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. তাজদিক হাসান দ্বীপের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর শিশু মনোবিদ ও গবেষক শারমিন সিরাজী।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে শারমিন সিরাজি বলেন, ‘গবেষণা অনুযায়ী দেখা গেছে বাবা-মায়ের মানসিক অবস্থান বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলছে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতার মধ্য দিয়ে গর্ভবতী মা থেকে শুরু করে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের প্রতিটি স্তরে মানসিক যত্ন নেয়া জরুরি এবং শিশুর মানসিক উদ্দীপনা গতিশীল করতে মা-বাবাসহ পরিবারেরই বিশেষ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’
সমাজের সর্ব স্তরের মানুষের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দ্বিধাহীন মত প্রকাশ করার প্রয়াসে অ্যাকশনিস্ট-এর সচেতনতা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া কর্মকৌশল বা পলিসি তৈরি করা কঠিন এবং মানসিকতা উন্নয়নে আমরা যত বেশি কাজ করব, আমাদের সমাজে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ তত কমে আসবে। একইসাথে সাইকো থেরাপি কাউন্সেলিং বা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত মান অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।’
পুরো ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন অ্যাকশনিস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ ন ম ফখরুল আমিন।
অ্যাকশনিস্ট মূলত তরুণদের দ্বারা পরিচালিত দীর্ঘদিন যাবত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে আসা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা করোনার শুরু থেকে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে।