প্রতি বছর বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশে যথাযথভাবে দিবসটি পালন করার জন্য বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করে। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির কারণে সীমিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট ৮০ বছর বয়সে মারা যান, তবে বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে ২২ শ্রাবণ তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।
জনসমাগম এড়াতে স্বল্প পরিসরে এবার দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল কর্মসূচির মাধ্যমে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কবি ভক্তরা দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানে মহান কবিকে স্মরণ করছে।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা দেবীর ১৩ সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখে (২৭ মে, ১৮৬১) জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি সংগীত রচনা করেছেন যা দুই বাংলায় ‘রবীন্দ্র সংগীত’ নামে পরিচিত। সেই সাথে তিনি প্রায় সাত দশক ধরে তার দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে আটটি উপন্যাস, ৮৮টি ছোট গল্প এবং অসংখ্য কবিতা লিখেছেন। তার রচিত আমার সোনার বাংলা ও জনগণমন গান দুটি যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত।
সংস্কৃতি ও সাহিত্যের চর্চা ছড়িয়ে দিতে এবং ভবিষ্যতের শিল্পী ও সাহিত্যিক তৈরি করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বাঙালি এবং অ-ইউরোপীয় কবি হিসেবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।