ঢাকা, ২৯ নভেম্বর (ইউএনবি) - ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কাউন্সিল সদস্য হওয়ার জন্য ১ ডিসেম্বর যেসব দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
'সি' ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ।
৩৩তম অধিবেশনে আইএমও কনভেনশনের ১৬ ও ১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিষদের ৪০ জন সদস্য নির্বাচন করা হবে। ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য একটি নতুন ৪০ সদস্যের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচিত হবে। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সশরীরে শুক্রবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অধিবেশন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আইএমও অ্যাসেম্বলির সহ-সভাপতি নির্বাচিত
৭ ডিসেম্বর (কাউন্সিলের ১৩১তম অধিবেশনে) নবনির্বাচিত কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং এর সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করা হবে।
'এ' ক্যাটাগরির প্রার্থীরা হলো: আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী চীন, গ্রিস, ইতালি, জাপান, লাইবেরিয়া, নরওয়ে, পানামা, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, রাশিয়ান ফেডারেশন, যুক্তরাজ্য, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র।
ক্যাটাগরি বি’র অধীনে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী প্রার্থী দেশগুলো হলো: অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ক্যাটাগরি সি-তে এমন রাষ্ট্র রয়েছে, যেগুলো ‘এ’ বা ‘বি’ তে নির্বাচিত নয় এবং যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে; যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সমস্ত প্রধান ভৌগলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।
আইএমও হলো জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা, যা জাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং জাহাজ কর্তৃক সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করে।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) ৩৩তম অ্যাসেম্বলির প্রথম সহ-সভাপতি পদে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সর্বসম্মতিক্রমে ১৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য লন্ডনে অনুষ্ঠিত আইএমও সাধারণ পরিষদের ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ পরিষদের সর্বোচ্চ পদে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও তার স্থায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে।
মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর সৌদি আরবের যুবরাজ খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
আইএমও সেক্রেটারিয়েট আইএমও অ্যাসেম্বলির ১৭৫টি বর্তমান ও ভোটদানকারী সদস্য রাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধিদের মনোনয়ন এবং ভোটের ভিত্তিতে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচন করে।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত