প্রতিদ্বন্দ্বিতা
শুধু সরকারপন্থী দলগুলোই 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারপন্থী দল ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল 'পাতানো' নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত 'শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট' শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস না করে তাদের দল আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে খেলা চলছে। কে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে? সরকারপন্থী দল ছাড়া অন্য কোনো দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ১২টি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা হয় ক্ষমতাসীন দল অথবা ১৪ দলীয় জোট, মহাজোট এবং সরকারের গঠিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং আমার কাছে বিস্ময়কর যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের অহেতুক এ ধরনের নির্বাচনের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে। তারা কী করবে?’
আরও পড়ুন: সোমবার বিএনপির হরতাল
বিএনপি নেতা প্রশ্ন তোলেন, দেশে যখন অনেক দরিদ্র মানুষ অনাহারে ও দুর্ভোগের শিকার, তখন সরকার কেন পাতানো নির্বাচনের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করছে।
কারাবন্দী বিএনপি নেতারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে এক মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের দল কখনই নির্বাচনের নামে কোনো খেলায় অংশ নেবে না।
আরও পড়ুন: ৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, 'আমরা আগেও বলেছি এবং ভবিষ্যতেও একই কথা বলব যে, গণতন্ত্র, জনগণের ভোটাধিকার ও শাসনের প্রশ্নে আপোষের কোনো সুযোগ নেই। জনগণ যা সমর্থন করবে আমরা তাই করব'।
তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই নির্বাচিত হবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
অন্যথায় দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান নজরুল।
আরও পড়ুন: সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হরতাল পালন করবে বিএনপি
১০ মাস আগে
আইএমও কাউন্সিলের জন্য ১ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৯ নভেম্বর (ইউএনবি) - ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কাউন্সিল সদস্য হওয়ার জন্য ১ ডিসেম্বর যেসব দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
'সি' ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ।
৩৩তম অধিবেশনে আইএমও কনভেনশনের ১৬ ও ১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিষদের ৪০ জন সদস্য নির্বাচন করা হবে। ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য একটি নতুন ৪০ সদস্যের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচিত হবে। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সশরীরে শুক্রবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অধিবেশন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আইএমও অ্যাসেম্বলির সহ-সভাপতি নির্বাচিত
৭ ডিসেম্বর (কাউন্সিলের ১৩১তম অধিবেশনে) নবনির্বাচিত কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং এর সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করা হবে।
'এ' ক্যাটাগরির প্রার্থীরা হলো: আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী চীন, গ্রিস, ইতালি, জাপান, লাইবেরিয়া, নরওয়ে, পানামা, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, রাশিয়ান ফেডারেশন, যুক্তরাজ্য, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র।
ক্যাটাগরি বি’র অধীনে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী প্রার্থী দেশগুলো হলো: অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ক্যাটাগরি সি-তে এমন রাষ্ট্র রয়েছে, যেগুলো ‘এ’ বা ‘বি’ তে নির্বাচিত নয় এবং যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে; যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সমস্ত প্রধান ভৌগলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।
আইএমও হলো জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা, যা জাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং জাহাজ কর্তৃক সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করে।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) ৩৩তম অ্যাসেম্বলির প্রথম সহ-সভাপতি পদে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সর্বসম্মতিক্রমে ১৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য লন্ডনে অনুষ্ঠিত আইএমও সাধারণ পরিষদের ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ পরিষদের সর্বোচ্চ পদে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও তার স্থায়ী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে।
মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর সৌদি আরবের যুবরাজ খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
আইএমও সেক্রেটারিয়েট আইএমও অ্যাসেম্বলির ১৭৫টি বর্তমান ও ভোটদানকারী সদস্য রাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধিদের মনোনয়ন এবং ভোটের ভিত্তিতে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচন করে।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
১১ মাস আগে
ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ষষ্ঠ ধাপে ২২ জেলার ৪২ উপজেলায় ২১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় ২ হাজার ১৮৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
২১৮ ইউপির মধ্যে ২১৬টিতে প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রায় ৪২ লাখ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এতে বিভিন্ন পদে ১১ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে রায়পুরায় নিহত ২, আহত ২০
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৯৯ জন, সংরক্ষিত আসনে ২ হাজার ৫৫৯ জন মহিলা এবং সদস্য পদে ৭ হাজার ৮৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সংরক্ষিত আসনে ৩২ জন মহিলা এবং সদস্য পদে ১০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের গেজেট প্রকাশ
২ বছর আগে
ইউপি নির্বাচনে দুই সতীন মুখোমুখি, বিপাকে স্বামী
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক ব্যক্তির দুই স্ত্রী পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় চমক সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। স্বামী এক স্ত্রীকে সমর্থন দিলেও অপর স্ত্রী প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় ঘরের লড়াই এবার নেমে এসেছে ময়দানে। ফলে ওই এলাকার ভোটাররা উৎসুখ হয়ে আছেন দুই সতীনের ভোটের ফলাফল নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ওই এলাকার চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্রামের ফজলু কসাইয়ের দুই স্ত্রী আঙ্গুর বেগম ও জাহানারা বেগম। স্বামী ফজলু কসাই আঙ্গুর বেগমের পক্ষ নিলেও তার অপর স্ত্রী জাহানারা বেগম ভোটযুদ্ধ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করতে রাজী নয়।
ফজলু কসাই জানান, আমার তিন স্ত্রীর মধ্যে আঙ্গুর বেগম প্রথম স্ত্রী, নাজমা বেগম দ্বিতীয় স্ত্রী ও জাহানারা বেগম তৃতীয় স্ত্রী। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী আমার সাথে রয়েছে। তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আলাদা বাড়ি করে দিয়েছি। সেখানেই অবস্থান করছে সে। এবারের নির্বাচনে পাড়া-প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনদের সমর্থনে প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগম সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু আমার তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম আমাদের বাঁধা-নিষেধ সত্ত্বেও একাই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ৬
এ ব্যাপারে জাহানারা বেগম বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি স্বামীর সমর্থনে প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। সেবার আমি দ্বিতীয় হয়েছিলাম। আমার জনপ্রিয়তার ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সতীন আঙ্গুর বেগম স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছে। নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে আমাকে চাপ দেয়া হচ্ছে। তাতে আমি ভীত নই। জনগণ আমার সাথে রয়েছে। আমিই শেষ হাসি হাসবো।’
গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) প্রতীক বরাদ্দে আঙ্গুর বেগম পেয়েছেন কলম আর জাহানারা বেগম পেয়েছেন তালগাছ। এছাড়াও তাদের সাথে আরও পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপি নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর
স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় বিয়ের পর এমনিতে ফজলু কসাইয়ের পরিবারে অশান্তি নেমে এসেছে। এখন দুই সতীন পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিপাকে পরেছেন তিনি। সংসারে বেড়েছে ঝগড়া-বিবাদ। অনেক বুঝিয়েও জাহানারা বেগমের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যায়নি। এখন দুই সতীন পুরো ফুলবাড়ী উপজেলায় নির্বাচনে আলোচনা-সমালোচনার খোরাক হয়েছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর এই দুই গৃহবধূ পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এখন অপেক্ষার পালা ফলাফল কার পক্ষে যায়। কে হাসবে বিজয়ের হাসি।
২ বছর আগে
খুলনায় রুটি বিক্রেতা রিক্তা এখন ইউপি সদস্য
খুলনার ফুলতলা সদর ইউনিয়নে ফুটপাতের দোকানি থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রিক্তা ইসলাম (২৭) নামের এক নারী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি)ফুলতলা সদর ইউনিয়নের চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।
রিক্তা ওই ইউনিয়নের মো. লিয়াকত খাঁ’র মেয়ে। তারা বাবা পেশায় একজন চায়ের দোকানদার। আর স্বামী পয়গ্রামের বাসিন্দা ইমরান শেখ (৩০) টাইলস শ্রমিক। অষ্টম শ্রেণি পাস রিক্তা গত ছয়-সাত বছর ধরে রাস্তার পাশে রুটি বিক্রি করেন। একমাত্র মেয়ে তাবাচ্ছুম বুশরা স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায়, রিক্তা খুবই গরীব, তিনি ফুলতলা বাজারের গরুহাট এলাকায় রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘরে রুটির দোকান চালান। এলাকাবাসীরা তাকে নির্বাচনে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ৬
কোনও কাজই ছোট নয় বলে মনে করেন রিক্তা। তাইতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরও যথারীতি দোকানে রুটি বানিয়ে বিক্রি করছেন তিনি। তবে আগের চেয়ে তার দোকানের ক্রেতা সংখ্যা বেড়েছে।
রিক্তার স্বামী ইমরান শেখ বলেন, এলাকার সবার দোয়া ও সহযোগিতায় তার স্ত্রী নির্বাচনে জিতেছে। বাকি ছয় প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এক হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়েছে জয়ী হয়েছে রিক্তা। এলাকার মানুষ ভালোবেসে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, স্ত্রী যেন তার প্রতিদান দিতে পারে সেজন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রিক্তা বলেন, আমার মতো গরীব মানুষকে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের কাছে আমি চীর ঋণী। নির্বাচনে আমার জয়ী হওয়াটা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থী। তিনি ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে তার প্রতিদান দিতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ইউপি নির্বাচন করতে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউপি নির্বাচন: নরসিংদীতে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৩
২ বছর আগে
বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচন: বিনা ভোটে আ’লীগের ৩৯ প্রার্থী নির্বাচিত
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা এখন বেশ সরগম। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অনেকটা একচেটিয়া অবস্থানে রয়েছেন। এদিকে বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৩৯ জন প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নানাভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় জেলার তিন উপজেলায় ২২ জন নেতাকর্মীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাগেরহাটের ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিন হাজারেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব প্রার্থীরাই বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচন: প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
শনিবার দিনভর বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রার্থীদের প্রচারণা। বাড়ি থেকে হাট-বাজার কিংবা চায়ের দোকান সর্বত্রই আলোচনা চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে। জনসমাবেশ এবং মিছিলসহ নানাভাবে প্রচারণা ছিল প্রার্থীদের।
ভোটাররা বলছেন, যতই প্রচার-প্রচারণা হউক না কেন, তারা যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠাতে চায়। ৬৫টি ইউপির মধ্যে ফকিরহাট, রামপাল এবং মোংলা উপজেলার চারটি ইউপিতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। বাকি ৬১টি ইউপিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোট দিবেন।
বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সংশি¬ষ্ট রিটানিং অফিসাররা বেসরকারি ভাবে তাঁদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নেয়ায় বাগেরহাটের তিন উপজেলায় ২৩ জন নেতাকর্মীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে ১৭ জনকে, চিতলমালী উপজেলায় চারটি ইউনিয়নে চারজনকে এবং কচুয়া উপজেলায় দুইজন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ভোলায় গুলিতে যুবক নিহত
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে এমডি সেলিম রেজা, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মো. ইমরান শিকদার এবং আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিজয়ের ব্যাপারে তিনজনই শতভাগ আশাবাদী।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ মহিতুর রহমান পল্টন জানান, এলাকায় তার জনপ্রিয়তার কারণে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চায়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এলাকার জনগণের কাছে তার দ্বায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেছে। এই দ্বায়বদ্ধতার কারণে সব সময় জনগণের পাশে থাকবেন এবং এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, বাগেরহাট জেলার ৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৬৫টিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩৯টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এখন চেয়ারম্যান পদে ৯৭ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৭৮৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে দুই হাজার ২৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগের ১২৬ ইউপি নির্বাচন স্থগিত
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্ততি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোটা দিতে পারবেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটের জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, স্টাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
৩ বছর আগে
পৌরসভা নির্বাচন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়র পদে লড়বেন ৬ জন
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৩ বছর আগে
সুইজারল্যান্ড পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি প্রার্থী আনোয়ার
সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লার লাকসামের আনোয়ার হোসেন।
৪ বছর আগে