বাতিল হওয়া কাজগুলোর চুক্তি মূল্য ৮৮ কোটি ২১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৯ টাকা। তবে দুই ভাইয়ের নিয়ন্ত্রিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে।
বাতিল হওয়া কাজের মধ্যে ‘সাজ্জাদ বরকত কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’ এর ২১টি কাজ রয়েছে। বরকতের আরেক প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রত্যাশা এন্টারপ্রাইজের নামে রয়েছে তিনটি। বাকি কাজটি রাফিয়া কনস্ট্রাকশন লিমিটের নামে বরাদ্দ পাওয়া, যার মালিক রুবেল।
ফরিদপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী পিন্টু সাহা জানান, চলতি বছর বরকত ও রুবলের প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে মোট ৩৮টি প্যাকজের কাজ চলমান ছিল। এর মধ্যে ২৫টি বাতিল করা হয়েছে। বাকি ১৩টি বাতিলের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ওই ১৩ কাজের মধ্যে ফরিদপুর সদরের ভাজনডাঙ্গা এলাকায় একটি সেতু রয়েছে।
আলোচিত দুই ভাইয়ের যে ২৫ কাজ বাতিল করা হয়েছে তার মধ্যে ৭০-৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে চারটির। একেবারে কাজ শুরু হয়নি ১৪টি প্যাকেজের।
যে ২৫ কাজ বাতিল করা হয়েছে তাতে মোট কাজ হয়েছে ২৮ ভাগ। এর বিপরীতে টাকা তোলা হয়েছে ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার।
ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম ফারুক হোসেন জানান, সরকারের ক্রয়নীতির (পিপিআর) চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, চলমান কোনো কাজ টানা ২৮ দিন বন্ধ থাকলে এলজিইডি তা বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। সে নীতিমালার ভিত্তিতে ২৫ কাজ বাতিল করা হয়েছে। আরও ১৩ কাজ একই অভিযোগে বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।