বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে এই দুর্ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করে তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় ১০টির বেশি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
নিহত সামসুল আলম শারমিন গ্রুপের এডমিন অফিসার ছিলেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনায় কলেজ শিক্ষক নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
আশুলিয়া থানার উপপরির্দশক (এসআই) হারুন অর রশীদ জানান, কারখানায় ছুটি শেষে টঙ্গী আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক পারাপার হচ্ছিল শ্রমিক-কর্মচারীরা। এ সময় আশুলিয়া ক্লাসিক নামে একটি যাত্রীবাহী বাস কয়েকজন শ্রমকিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে শামসুল আলম নিহত হন। এ সময় আরও তিন জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
সার্বিক চিত্র:
দেশে ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৭২৯ শ্রমিক নিহত এবং ৪৩৩ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, এ সময়ে নির্যাতনের শিকার হন ৫৯৬ শ্রমিক। যার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ২৩২ এবং কর্মক্ষেত্রের বাইরে ৩৬৪ জন নির্যাতিত হন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) উদ্যোগে ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মক্ষেত্র পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদপত্র ভিত্তিক বিলস জরিপ-২০২০’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের মধ্যে ৭২৩ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। খাত অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৩৪৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয় পরিবহন খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৪ জন নির্মাণ খাতে এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ জন কৃষি খাতে মারা যান।
আগের বছর ২০১৯ সালে বিভিন্ন খাতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১২০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং তখন নির্যাতনে ১২৯২ শ্রমিক হতাহত হন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া ও ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৪৩৩ শ্রমিক আহত হন, এর মধ্যে ৩৮৭ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী। মৎস্য খাতে সর্বোচ্চ ৬৮ শ্রমিক আহত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ জন আহত হন নির্মাণ খাতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর নির্যাতনে পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি ১০৯ জন শ্রমিক হতাহত হন। তারপরে ৭৮ জন তৈরি পোশাক শিল্পে, অভিবাসী খাতে ৬৫, নির্মাণ খাতে ৬৩, কৃষি খাতে ৫৮ এবং গৃহশ্রমিক খাতে ৪৪ জন হতাহত হন।