বুধবার ও বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিপাতে নগরীর অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরীর হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও প্রবল বৃষ্টিতে খুলনা জেলার দাকোপসহ অনেক উপজেলার মাছের ঘের, পুকুর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
ভারী বৃষ্টিতে মহানগরীর মুজগুন্নী বাস্তুহারা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার প্রথম ফেজ, গোবরচাকা, নবীনগর, শামসুর রহমান রোড, কেডিএ এভিনিউ এলাকার অধিকাংশ ভবনের নিচতলায়ও পানি প্রবেশ করেছে।
ড্রেনের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মহানগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যালের মোড়, পূর্ব বানিয়াখামার, পিটিআই, নিরালা, দোলখোলা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, বাইতিপাড়া, খানজাহান আলী রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বাস্তুহারা এলাকায়। অনেকের ঘরে পানি উঠে গেছে।
মহানগরীর দোলখোলা এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব বলেন, খুলনায় পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট ও দখলদারিত্বের কবলে পড়ায় ভারী বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে নগরীর অধিকাংশ এলাকায়।
খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মওসুমী বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় থাকার প্রভাবে খুলনায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে, যা আরও দুই তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আষাঢ়ের প্রথম তিন দিনে নগরীতে মোট ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।