নির্বাচনে ২২ কেন্দ্রে মধ্যে ২১ কেন্দ্রের গণনায় নৌকা প্রতীকে নিয়ে কাউসার ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২৮টি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপির কে এম ওবায়দুল বারী দীপু খান ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩টি।অপর একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচন নৌকার প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।
গত বছর ২৩ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসনে মুসার মৃত্যুতে ইউপি চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে যায়। গত ২৯ মার্চ এ উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে ১০ অক্টোবর ভোট গ্রহণে তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
নির্বাচনে অংশ নেয়া মোটরসাইকেল প্রার্থী খবির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউপির সকল ভোট কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কেউ ছিলা না। সেখানে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ। আর অন্য দুইটিতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এতেই প্রমাণ করে নৌকার এজেন্টরাই ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।’
একই অভিযোগ করেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী কে এম ওবায়দুল বারী দীপু খান। তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রার্থীর নিজ ইউনিয়নে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্টিং দেখানো হয়েছে। বাস্তবে কোনো ভোট কেন্দ্রে ২০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিত ছিল না। আমাদের ইউনিয়নের শতভাগ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলো। আর নৌকার প্রার্থীর ইউনিয়নের কেনো এমন হল।’
শান্তিপূর্ণভাবে নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন রিটানিং কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম জানান, ‘নির্বাচনের ২২ কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে অভিযোগ থাকায় আমরা সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছি। নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. কাউসার।’