শর্ত অনুযায়ী, একজন বন্দীর সাথে তার নিকটতম স্বজনই দেখা করতে পারবেন। সাক্ষাতের সময় পাচ্ছেন মাত্র ১০ মিনিট।
প্রায় এক বছর পর স্বজনদের সাক্ষাৎ পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হচ্ছেন বন্দী ও তাদের স্বজনেরা। সাক্ষাতের সময় আনন্দ অশ্রুতে ভাসছেন তারা। কারাগারের সাক্ষাৎ কক্ষ হয়ে উঠছে যেন আনন্দ নিকেতন।
আরও পড়ুন:যশোরে ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মার্চের শেষের দিকে করোনার কারণে বন্দীদের সাথে তাদের স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। গত তিনদিনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৩৬০ জন বন্দীর সাথে তাদের সবচেয়ে ঘনিষ্টজন সাক্ষাৎ করেছেন।
কারা সূত্র আরও জানায়, সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মামলার বন্দীরা প্রতি ১৫ দিনে একবার দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন। এর বাইরে আলোচিত বিশেষ করে জেএমবি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, রাষ্ট্রদোহী, দুর্ধর্ষ, যুদ্ধাপরাধী এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা মাসে একবার তাদের স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তাদের স্বজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা রাখছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:পাউবোর ‘উদাসীনতা’: যশোরে নিজ অর্থায়নে ২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকাবাসীর উদ্যোগ
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সাক্ষাৎ কক্ষের সামনে কথা হয় মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার এক বন্দীর স্বজন ৭২ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ রফিকুলের সাথে।
তিনি জানান, তার ছেলে চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দেখেন ছেলেকে। অসুস্থ শরীর নিয়ে এক বছর খুব কষ্টে দিন কেটেছে তার। করোনার সময় তিনি ভেবেছিলেন হয়তো ছেলের সাথে আর দেখা হবে না। হঠাৎ বুধবার সকালেই জানতে পারেন বন্দীদের সাথে নতুন করে সাক্ষাৎ চালু হয়েছে। তাই ছেলের সাথে দেখা করতে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন:যশোরে চোর সন্দেহে মাদরাসাছাত্রকে ‘পিটিয়ে হত্যা’
কথা বলতে বলতে কারাগারের ভেতর থেকে সাক্ষাৎ প্রার্থীর ডাক পড়ায় কাঁদতে কাঁদতে সাক্ষাৎ কক্ষের দিকে যান বৃদ্ধ রফিকুল।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান বলেন, বন্দীরা স্বজনদের সাথে দেখা করতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল। হাজতিরা আদালতে মামলার তারিখ দেখার সুযোগ পেলেও কয়েদীরা সেই সুযোগ পয়নি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সকল নিয়মের মধ্যে থেকেই ১ মার্চ থেকে সাক্ষাৎ করানো হচ্ছে বলে জানান জেলার তুহিন কান্তি খান।