মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদের উদ্যোগে শহরের কয়েকটি সড়কে ব্লিচিং পাউডার ও গরম পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসকদের উপস্থিতি কম থাকায় রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অখিল চন্দ্র বলেন, ‘হাঁচি ও কাশির রোগীদের সামনাসামনি চিকিৎসা দেয়া সমস্যা। তাই ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। ফোনে দিন-রাত চিকিৎসা চলছে।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, জেলায় মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ৩২৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তিনজন আছেন আইসোলেশনে ও তিনজন রয়েছেন প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টানে রাখা ৬২১ জনের মধ্য ২৮১ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দুপুরে মাদারীপুর শহরের বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ, রসুন ও অন্যান্য কাচাঁবাজারে দাম কিছুটা কমেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দোকানপাট বন্ধের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন।
টুম্পা ইলেকট্রনিকসের মালিক রাজন মাহমুদ জানান, এভাবে লাগাতার বন্ধ থাকলে সকল ব্যবসায়ীরা পথে বসবে।
এদিকে জেলার শিবচর উপজেলার চারটি এলাকায় ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ৭৮ হাজার লোককে লকডাউনে রাখা হয়েছে।
চিফ হুইপ লিটন চৌধুরীর উদ্যোগে লকডাউন এলাকায় ৫০০ গরিব লোকের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ ও পানি বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সামচুল হক খান জানান, সোমবারও এক হাজার দুস্থের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। লকডাউন এলাকায় ২৫০ জন পুলিশ সর্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার মাদারীপুর ও শিবচরে সেনাবাহিনী আসবে। এ জন্য মাদারীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শিবচরে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।