সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারিভাবে বুড়িমারী স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস বিষয়ে সতর্কতা হিসেবে চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা বন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের জ্বর-সর্দি হয়েছে কি না বা সম্প্রতি চীন সফর করেছেন কি না এমন প্রশ্ন করে ও শরীরের বাহ্যিক অবস্থা দেখেই ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের কোনো ধরনের পরীক্ষাই করা হচ্ছে না।
চিকিৎসকদের মতে, করোনাভাইরাস শরীরে প্রবেশের দুই সপ্তাহ পরে লক্ষণ বা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। তাই এ সময়ে ভাইরাস শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানারে স্ক্যানিংয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুড়িমারী স্থলবন্দরে কোনো থার্মাল স্ক্যানার না থাকায় এ পথ দিয়ে করোনাভাইরাস দেশে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাহমুদ বলেন, ‘এ চেকপোস্ট দিয়ে প্রতি দিন ৬০০ থেকে ৭০০ পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করেন। এখানে থার্মাল স্ক্যানার ও শরীর স্ক্রিনিং যন্ত্রপাতি বসানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
এ ব্যাপারে লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কাসেম আলী জানান, বুড়িমারী ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে চীনা নাগরিক আসার সম্ভাবনা নেই। যে কারণে সেখানে শরীর স্ক্রিনিংয়ের যন্ত্রপাতি বসানো হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই বসানো হবে।