শুক্রবার খুলনার নূরনগরে নবনির্মিত বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান মন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে করোনা মহামারির ছোবলে অনেকে কর্মসংস্থান হারিয়েছে। তাদের জন্য নানামুখী প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ছয় লাখ ৯৬ হাজার কৃষক ও উদ্যোক্তার মাঝে ৯০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে আরও চার হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা প্রাণিজ খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করব।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নথুরাম সরকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, উপপুলিশ কমিশনার এসএম শাকিলউজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা এবং খামারি শেখ মোজাম্মেল হক বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ ভবন হিসেবে খুলনা বিভাগে নির্মিত এ ভবনটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুন মাসে ছয়তলা এ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর এবং খুলনা বিভাগের ১০টি প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।