বুধবার বিকাল থেকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. মঈন উদ্দিন সেলিম।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার ও রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাহাড়ের চলমান বৈসাবী উৎসবের পর এব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা না হলে পরবর্তীতে আবারো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাবেন বলে জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে দেয়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা রাঙ্গামাটি জোনের চেয়ারম্যান মো. মঈন উদ্দিন সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কাপ্তাই হ্রদে নৌ-পথে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা করা হয়।
এরপর বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা ১১ ঘণ্টা রাঙ্গামাটির ৬টি উপজেলায় নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শত শত যাত্রীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক এস এম শফি কামাল বলেন, ‘নৌ পরিবহন ধর্মঘটকারী নেতাদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের দাবির কথা শুনেছি। পরে তাদেরকে বুঝানোর পর তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা জানিয়েছে।’
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদ বেষ্টিত জেলা। কাপ্তাই হ্রদের লঞ্চ, বোট যোগে জেলার ৬টি উপজেলায় যাতায়াত করে যাত্রীরা। আকষ্মিক ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছিল শত শত যাত্রী।