জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর থানা পুলিশ আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে। বিচারক নির্যাতনের ভিডিওচিত্র দেখেন এবং উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার সকালে শহরের মিশন মোড়ে অটোরিকশা থেকে তেল চুরির অভিযোগে কিশোর মমিনুল ইসলামকে আটক করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিছুক্ষণ পর আশরাফ আলী লাল ঘটনাস্থলে এসে তাকে মারধর শুরু করেন। ওই কিশোর আশরাফ আলীর পা ধরে ক্ষমা চাইলেও তিনি তাকে পেটাতে থাকেন এবং পরে স্থানীয়দের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেন।
এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে মিশন মোড়ের বাসা থেকে আশরাফ আলীকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্যাতনের শিকার মমিনুলকে চাঁদনীবাজার আবাসন থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার অপর আসামিরা হলেন আশরাফ আলীর সীমান্ত ভবনে অবস্থিত ক্রিসেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী মধু চন্দ্র রায় (৩২), বিমল চন্দ্র রায় (৩৭) ও আব্দুল মান্নান (২২)।
জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ’এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক, পরিচয় দেখে নয়, তার অপরাধ বিবেচনা করে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশের হাতে সম্পূর্ণ ভিডিওচিত্রটি আছে। ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।’