শুক্রবার দুপুরে তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ৫০ জন। এছাড়া ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর আজ ছাড়া পেয়েছেন ৪০৫ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে তারা বাংলাদেশে এসেছেন বলে সিভিল সার্জন জানান।
জেলায় এ পর্যন্ত কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী না থাকলেও প্রবাসী বেশি থাকায় এটি করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে নিয়াতুজ্জামান জানান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে নতুন করে আরও চারজন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের কথা শুক্রবার নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও চারজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনই চিকিৎসক। দেশে এ নিয়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাঁচজন করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেউ মারা যাননি। ইতিমধ্যে ১১ জন রোগী করোনাভাইরাস থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। বর্তমানে ৩২ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭৩ জনে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৫ লাখ ৩১ হাজার ৮০৬ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯১ জন চিকিৎসাধীন এবং ১৯ হাজার ৩৫৭ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।