কুমিল্লার ছয় উপজেলায় এ বছর কোরবানির পশু ঘাটতি থাকার কথা জানিয়েছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ। তবে কুমিল্লার ভৌগলিক গুরুত্ব আর বড় জেলা হিসেবে কোরবানির প্রায় ৮ হাজার পশু অতিরিক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লায় পশু পালন করছেন ৩৩ হাজার ৯৩৭ জন খামারি।
কুমিল্লা জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, ১৭ উপজেলায় চাহিদা দুই লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টি পশু। জেলায় মোট পশু রয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ০৯৮টি।
এছাড়া পুরো জেলায় আট হাজার ৬০৬টি পশু উদ্বৃত্ত আছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তবে উপজেলার হিসাবে চৌদ্দগ্রামে ২৭৩, নাঙ্গলকোটে ৬০৮, চান্দিনা ৪২৬, দেবিদ্বার ৪৩৩৫, হোমনা ৩৯৫ ও সদর দক্ষিণে ১০৩৯ টি পশু ঘাটতি রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপে আরও দেখা যায়, পশু লালন-পালনে শীর্ষে রয়েছে লাকসাম উপজেলা। এ উপজেলার দুই হাজার ৫৯২ জন খামারি ২১ হাজার কোরবানির পশু পালন করছেন।
যা উপজেলার চাহিদা থেকে সাড়ে সাত হাজার বেশি। মেঘনা উপজেলার এক হাজার ৬০৫ জন খামারি ৯ হাজার ৮৩৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।
যা উপজেলার চাহিদা থেকে দুই হাজার ৪০০টি বেশি রয়েছে।
বরুড়ার ঝলম এলাকার খামারি রুবেল সর্দার জানান, ‘দিনে দিনে গরুর খাদ্যের দাম বাড়তে থাকায় আমাদের লোকসান গুণতে হয়। যদি ভারতের গরু প্রবেশ করে, তবে বাজার খারাপ যাবে’।
কুমিল্লা প্রাণিসম্পদ ট্রেনিং অফিসার চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, কুমিল্লায় চাহিদার চেয়েও আট হাজার পশু বেশি আছে।
যে সব উপজেলায় পশু কম, সেসব উপজেলায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা অন্য জেলা থেকেও পশু আসে। কুমিল্লা ভৌগলিক গুরুত্বের কারণে পাশের জেলাসহ সারাদেশে ট্রাকে করে গরু আনা নেওয়া করা হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর গরু আছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৬, মহিষ আছে ১০৬, ছাগল ৪০ হাজার ৮৮৩ ও ভেড়া দুই হাজার ১৫৩টি।
কুমিল্লায় পশু সংকটের সম্ভাবনা নেই। আর পশু বাজারে আমরা মেডিকেল টিম বসাবো। এ বিষয়ে বাজার কমিটির সহযোগিতা লাগবে।
আরও পড়ুন: যশোরে ‘লালু পালোয়ান’