বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মো. রায়হান (২০) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সে মুরাদনগর উপজেলার বলিঘর গ্রামের মোখলেছুর রহমান ছেলে।
আরও পড়ুন: জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুমিল্লায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন
মৃত্যুর আগে তার শরীরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং প্রচন্ড ব্যথা উপসর্গ ছিল। সে পায়ে ব্যথাজনিত কারণে বুধবার সকালে পাশের গাজীর হাটে চিকিৎসা নিতে এলে চিকিৎসক কবীর আহমেদ খন্দকার তাকে নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবার পরামর্শ দেন। দুপুরে নবীনগরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা যায় সে।
নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোশরাত ফারখান্দা জেবিন জানান, এক্সরেসহ কিছু প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় তার নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হলে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর আগে দুপুর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, তার শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল কি-না সেটি পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন, বাঙ্গরাবাজার থানা ও মুরাদনগর স্বাস্থ্য বিভাগের ককর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তার দাফনকাজ শেষ করা হয়। এসময় মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ, বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার, আকবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ মোল্লা, রফিকুল ইসলাম মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।
পরে বলিঘর গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করেন ইউএনও।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ছিলো কি-না পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত গ্রামটি লকডাউন থাকবে। রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সে পর্যন্ত সবাইকে নিজ নিজ ঘরে নিরাপদে অবস্থান করার জন্যে অনুরোধ জানান ইউএনও।
এদিকে মরদেহ বহনকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিইগুলো বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আগুনে পুড়ে ফেলা হয়।