আক্রান্ত মাহাবুব আহম্মেদ চপ্পল (৩০) কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মাদারীপুর জেলায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিসার পদে কর্মরত আছেন। আক্রান্ত অপর ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আক্কাস আলী (৬৯) কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামে গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।
এ দুজনের করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ২৫ মার্চ মাহাবুব আহম্মেদ চপ্পল মাদারীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তবে, আক্কাস আলী কুষ্টিয়া জেলা ছেড়ে অন্য কোনো জেলায় জাননি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
গত কদিন ধরে দুজনের জ¦র, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় গত ২০ এপ্রিল বিকালে দুজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরের পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বুধবার সকালে ঢাকা থেকে এ দুজনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
এলাকাবাসী জানায়, আক্কাস আলী স্থানীয়ভাবে তৈরি ছোট মেশিন দিয়ে বাড়ি বাড়ি ধান মাড়াই এর কাজ করেন। অনেক আগে থেকেই তার অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত দুজন এতদিন বাড়িতে ছিলেন। পজেটিভ রেজাল্ট আসার পর তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য টিম পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত দুজনের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি এমনকি উক্ত এলাকাও লকডাউন করা হতে পারে।
কুষ্টিয়া জেলায় এটাই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো জানিয়ে সিভিল সার্জন জানান, এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় ৩৩৯ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৫ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট এখনো আসেনি। বৃহস্পতিবার থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু হবে।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কুষ্টিয়া জেলায় আরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার আশংকা করছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় ২২শ’র বেশি মানুষ গত দুসপ্তাহে কুষ্টিয়ায় এসেছেন। এদেরকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হলেও তারা তা মানছেন না।