এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের কেউ যেন ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য ট্রেনের নিরাপত্তাসহ আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। যার ফলে বাসে যাতায়াতের বিড়ম্বনা তা থেকে কিছুটা মুক্তি পায় জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ।
১৪টি বগির এ আন্তনগর ট্রেন রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-নাটোর-মাধনগর-টাঙ্গাইল-মৌচাক-বিমানবন্দসহ ১০টি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করছে। এতে পাড়ি দিচ্ছে ৫৪৪ কিলোমিটার পথ। তবে নামে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস হলেও এ জেলার জন্য আসন অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ ট্রেনে কুড়িগ্রামের জন্য বরাদ্দ মাত্র ১৪৪টি আসন। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ১১০টি, স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৯টি এবং এসি চেয়ার ২৫টি।
আসন ভাড়া শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১ হাজার ১৬৮ টাকা ও এসি বাথ ১ হাজার ৮০৪ টাকা।
বুধবার বাদে সপ্তাহের ছয় দিন কুড়িগ্রাম থেকে ৬৫৭টি আসন নিয়ে ঢাকা যায় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এবং রাত পৌনে ৯টায় ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ছাড়ে ৬৩৮টি আসন নিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রামের জন্য আসন সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক যাত্রী টিকিট না পেয়ে সরাসরি ট্রেনে করে অন্য স্টেশনে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। ফলে টিকিট সংকটে ভুগছেন যাত্রীরা।
আসনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় টিকিটের চাপ আছে স্বীকার করে কুড়িগ্রাম স্টেশন মাস্টার কাবিল উদ্দিন বলেন, ‘আসন সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।’