বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা ও ধরলার পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর দুটি অববাহিকার প্রায় শতাধিক চরের নিচু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ব্রীজ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপদসীমার ওপরে থাকায় কয়েক হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে। চিলমারীসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তা, রেললাইন ও বাঁধে আশ্রিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
দফায় দফায় বন্যার কারণে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট ও রোগব্যাধি নিয়ে বিপাকে পড়েছে বানভাসিরা। সেই সাথে তিস্তার ভাঙনে গাবুরহেলান ও থেতরাইসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।
একদিকে করোনায় কাজকর্ম বন্ধ, অপরদিকে বন্যার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে বানভাসিদের। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চলমান থাকলেও সেগুলো অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বানভাসিরা।