মঙ্গলবার স্কুলটির একাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। স্কুলের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
মেখলির চর খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর আলী জানান, ১৯৯০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চারজন শিক্ষক ও প্রায় ১শত শিক্ষার্থী নিয়ে চর এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখছিলো স্কুলটি। চার কক্ষ বিশিষ্ট স্কুলের ভবনটি নির্মিত হয় ২০০০ সালে। গত এক মাস ধরে মেকলি গ্রামে ধরলার ভাঙন চলছে। এতে এ পর্যন্ত ৪০ থেকে ৪৫টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ধরলার তীব্র ভাঙনে স্কুলটির কাছে চলে আসে নদী। সোমবার থেকে নদীতে পানি বাড়ায় ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে স্কুলের পাকা ভবনটি।
তিনি জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসের পরামর্শে স্কুলের চেয়ার, বেঞ্চসহ অন্যান্য মালামাল সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভাঙনের শিকার স্থানীয় বাসিন্দা বাছের আলী ও আবদার আলী জানান, স্কুল ছাড়াও চর মেখলি জামে মসজিদও হুমকির মুখে। বর্তমানে তীব্র ভাঙনে প্রতিনিয়ত গৃহহীন হচ্ছে এই গ্রামের মানুষ।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রাশেদুল ইসলাম মন্ডল জানান, সরেজমিন পরিদর্শন করে স্কুলের বর্তমান অবস্থা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।