শুক্রবার সকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানিও বিপদ সীমার কাছাকাছি রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার ফলে পঞ্চম দফা বন্যায় কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। যাতায়াতের জন্য নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রায় ৫ হাজার হেক্টর আমন ও সবজি খেত নিমজ্জিত হয়েছে।
ঘরবাড়িতে পানি উঠায় অনেকেই গবাদিপশু নিয়ে বাঁধ ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। এসব এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ধরলার তীরে কয়েটি গ্রামে প্রবল স্রোতে শতাধিক ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। পানি বাড়ার ফলে বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে এবং বসতভিটা, স্কুল, রাস্তা ও বাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে।