সেন্টার ফর ইনভাইরনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) ও স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন সলিডারিটি এ দুই ইউনিয়নে বিপদ সংকেত সম্পর্কে সচেতন করতে লাল ও হলুদ পতাকা স্থাপন করে ভাঙনকবলিতদের ক্ষতি কমাতে শতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
শনিবার এ কর্মসূচির মাধ্যমে বন্দবের ইউনিয়নের খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খোদাইমারী সরকারি বিদ্যালয়সহ মোট চারটি বিদ্যালয়ে বিদ্যুতের সরঞ্জামাদি ও গাইউ ওয়ালের কাজ উদ্বোধন করা হয়।
সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক এসএম হারুন অর রশীদ লাল, প্রজেক্ট ম্যানেজার আলেয়া বেগম, কেয়ার বাংলাদেশের প্রজেক্ট অফিসার এমডি আব্দুর রউফ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দাতা সংস্থা স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের আর্থিক অনুদানে ও কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় দুটি ইউনিয়নে ৬ মাসের পরীক্ষামূলক কর্মসূচিতে নদী তীরবর্তী ৪৩০ জন ভাঙনকবলিতদের প্রত্যেককে নগদ ৪ হাজার ৫০০ টাকা ও হাইজিন কিটস হিসেবে বালতি, মগ, ন্যাপকিন, সাবান, সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়।
রৌমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদ-নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে এ রকম প্রকল্প চালু হলে ভাঙনকবলিতদের ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং ক্ষতি কমানোর জন্য আর্থিক অনুদান দিলে তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে।
রিভার ব্যাংক ইরোশন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন সলিডারিটি দুটি উপজেলার ভাঙনকবলিত দুটি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামে সরাসরি ৪৩০ জন উপকারভোগী, চারটি স্কুলসহ প্রায় ১৫ শতাধিক পরিবারকে আগাম পূর্বাভাস দিয়ে এ এলাকার মানুষকে ভাঙনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।