স্যাটেলাইট
ঢাকার ইন্টারনেট-স্যাটেলাইট টিভির ঝুলন্ত ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও দুর্দশাগ্রস্ত ঝুলন্ত ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভির সংযোগ ক্যাবল মাটির নিচে দিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যদিও বিদ্যুৎ ইউটিলিটিগুলো এ বিষয়ে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এমনকি ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট টিভি ক্যাবলের অপারেটরদের বিদ্যুৎ ইউটিলিটি বিভাগগুলোর চলমান ভূগর্ভস্থ ক্যাবলিং প্রকল্পে যুক্ত করানোও সম্ভব হয়নি।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) তথ্য মতে, তাদের সব ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন মাটির নিচ দিয়ে নিতে ধানমন্ডি এলাকায় প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক বেশি দাম, ক্রেতা নেই কেরাণীগঞ্জের পাইকারি কাপড় বাজারে
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবি বলেন, ‘ডিপিডিসির পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও কোনো ইন্টারনেট বা টিভি কেবল অপারেটর প্রকল্পে যোগ দিতে রাজি হয়নি। এমনকি এই প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের বিনামূল্যে অফারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’
এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের আগের কমিটি পুনর্গঠন করে এবং সমাধানের জন্য একটি সভাও আহ্বান করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে বৈঠক হয়নি।
পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও পাওয়ার সেলের পরিচালক মো. সেলিম উল্লাহ খান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিভাগ ও সংস্থাগুলো এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে আগ্রহী নয়।’
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র ঝুলন্ত ক্যাবলের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) দায়ী করেছে।
কয়েক দফা বৈঠকের পর বিদ্যুৎ বিভাগের বিগত কমিটি তাদের সহযোগিতা ছাড়া সমস্যার সমাধান করতে অসুবিধা বোধ করছে।
বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড (এসসিএল) ও ফাইবারঅ্যাটহোম (এফএএইচ) নগরীতে এনটিটিএন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা নগরীতে তাদের প্রধান ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ভূগর্ভস্থ কেবল স্থাপন করেছে এবং প্রায় ১ হাজার ৭৩৪টি বৈধ এবং প্রায় ৫ হাজার অবৈধ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান স্থানীয় হিসেবে বাসাবাড়ি ও অফিসে ঝুলন্ত ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
নিয়ম অনুযায়ী, মূল নেটওয়ার্ক থেকে বাসাবাড়ি ও অফিসে ইন্টারনেট সেবা নিতে আইএসপিগুলো এসসিএল ও এফএএইচ থেকে সংযোগ নেওয়ার কথা। সম্প্রতি এনটিটিএনের আরেক প্রতিষ্ঠান বাহন লিমিটেডও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলছে, কিন্তু এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, আইএসপিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এনটিটিএন’র স্থাপিত লেবেল ডিস্ট্রিবিউশন প্রটোকল (এলডিপি) বা অ্যাকসেস পয়েন্ট (এপি) থেকে সংযোগ নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: স্টেকহোল্ডারদের সাড়া না পাওয়ায় সৌর সেচ কর্মসূচিতে ব্যর্থ সরকারের গ্রিড ইন্টিগ্রেশন নির্দেশিকা
অন্যদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএস প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, কোনো ইন্টারনেট সংযোগে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এনটিটিএন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ও তাৎক্ষণিক সমাধান না পাওয়ায় তারা এলডিপি বা এপি থেকে সংযোগ নিতে চায় না।
এছাড়া এনটিটিএনগুলো তাদের এলডিপি ও এপি থেকে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত চার্জ আদায় করছে বলে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করে নির্বিচারে সঞ্চালন ক্যাবল ঝুলিয়ে বাসাবাড়ি ও অফিসে সংযোগ দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় কেবল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনই (বিটিআরসি) হস্তক্ষেপ করে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারে।
অবশেষে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে সমন্বয় করে সব ওভারহেড ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করার জন্য ১১ দফা সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটি দেখেছে, এলোমেলোভাবে ঝুলে থাকা ইন্টারনেট, নিরাপত্তা ও স্যাটেলাইট টিভির তার শুধু বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার জন্যই বড় হুমকি নয়, রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধনে সরকারের পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বাহন লিমিটেডের কর্মকর্তা রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ বলেন, তারা কারিগরি কারণে ডিপিডিসির আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং প্রকল্পে যোগ দিচ্ছেন না, কারণ এটি আইএসপিএনের সঙ্গে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেবে না।
তিনি বলেন,‘তবে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ক্যাবল মাটির নিচে নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
৮ মাস আগে
১৬টি নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন
চীন দেশটির উত্তরঞ্চলীয় শানসি প্রদেশের তাইয়ুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে ১৬টি নতুন স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে।
বেইজিং সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে লং মার্চ-৬ ক্যারিয়ার রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি জিলিন-১ গাওফেন ০৩ডি০৯ স্যাটেলাইট ও ইউনিয়াও-১০৪-০৮ স্যাটেলাইট রয়ছে। উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইটগুলো সফলভাবে পরিকল্পিত কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: চীনের সামরিক মহড়ার জেরে তাইওয়ানের বিমানের ফ্লাইট বাতিল
স্যাটেলাইটের নতুন ব্যাচ মূলত বাণিজ্যিক রিমোট সেন্সিং ও বায়ুমণ্ডলীয় ইমেজিংয়ের মতো ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
২ বছর আগে
স্যাটেলাইট ছবিতে মারিউপোলের কাছে সম্ভাব্য গণকবরের সন্ধান
সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু স্যাটেলাইট ছবির ভিত্তিতে ইউক্রেনের মারিউপোলের কাছে গণকবর আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইট ইমেজ প্রদানকারী ম্যাক্সার টেকনোলজিস এ ছবিগুলো প্রকাশ করে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে বলেছে বন্দর শহর অবরোধে সংঘটিত মৃত্যু লুকানোর জন্য গণকবরে প্রায় ৯ হাজার ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের কবর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
স্যাটেলাইট ছবিগুলোতে শহরে ২০০ টিরও বেশি গণকবর দেখানো হয়েছে। চিত্রটিতে মারিউপোলের বাইরে মানহুশ শহরের একটি কবরস্থান থেকে দূরে প্রসারিত কবরের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো রাশিয়ানদের অভিযুক্ত করে বলেছেন,শহর থেকে বেসামরিক লোকদের লাশ নিয়ে মানহুশে দাফন করে রাশিয়া তাদের ‘সামরিক অপরাধ’ লুকিয়ে রেখেছে।
মারিউপোল সিটি কাউন্সিল বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে একটি পোস্টে বলেছে, কবরগুলোতে ৯ হাজার জনের মতো মৃত ব্যক্তি থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: লাভিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭ জন নিহত: ইউক্রেন
২ বছর আগে
১৩২ যাত্রী নিয়ে চীনা বিমান বিধ্বস্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংসি প্রদেশে সোমবার ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা।
চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টেং কাউন্টির উঝো শহরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ফ্লাইটটি পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের কুনমিং থেকে পূর্ব উপকূল বরাবর গুয়াংজু এর শিল্প কেন্দ্রে যাচ্ছিল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে চায়না ইস্টার্ন বোয়িং ৭৩৭ বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু সদস্য ছিল।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
নাসার স্যাটেলাইট ডাটায় দুর্ঘটনাস্থলে আগুন দেখা গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমে স্থানীয় পুলিশ দুপুর আড়াইটার দিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে একটি কল পায়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র
মারিউপোলবাসীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার
২ বছর আগে
পশ্চিম ইউক্রেনে বিমানবন্দরের কাছে রাশিয়ার হামলা
পশ্চিম ইউক্রেনীয় শহর ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক ও লুটস্কে বিমানবন্দরের কাছে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্তন হেরাশেঙ্কো জানিয়েছেন, শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প শহর ডিনিপ্রোতে তিনটি রুশ বিমান হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছে।
ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্কের মেয়র রুসলান মার্তসিনকিভ বিমানবন্দরের কাছে হওয়া বিমান হামলার কথা জানিয়ে বাসিন্দাদের পার্শ্ববর্তী এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্যাটেলাইটের নতুন ছবিতে দেখা গেছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাইরে একটি বিশাল সেনা বহর বিভিন্ন শহর ও জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার অনুরোধে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ
অন্যদিকে বন্দর নগরী মারিউপোলের একটি প্রসূতি হাসপাতালে বিমান হামলার পরে পশ্চিমারা এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার এই কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ হিসাবে ঘোষণা করেছে। তারা রাশিয়াকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন ও রাশিয়ার ওপর আরও বেশি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ রাশিয়ার ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশ’ বাণিজ্য মর্যাদা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। যার ফলে রাশিয়া অন্যদেশ থেকে কিছু পণ্য আমদানি করতে হলে তাকে উচ্চ শুল্ক দিতে হবে।
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞার কাছে নত না হয়ে রাশিয়াও ইউক্রেনের দক্ষিণ সমুদ্রবন্দর মারিউপোলের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যায়, ৪০ মাইল এলাকা জুড়ে যানবাহন, ট্যাঙ্ক এবং আর্টিলারি পুনরায় স্থাপন করেছে রাশিয়া। সংস্থাটি বলেছে, শহরের উত্তরে আন্তোনোভ বিমানবন্দরের কাছের শহরগুলিতেও সাঁজোয়া বাহিনী দেখা গেছে। কিছু যানবাহন বনের মধ্যে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠক
২ বছর আগে
কিয়েভমুখী ৪০ মাইল দীর্ঘ রাশিয়ান সেনাবহর
রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যানবাহনের ৪০ মাইলের একটি দীর্ঘ সেনাবহর যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে যাচ্ছে। এর আগে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে গোলাবর্ষণ তীব্র করেছে রাশিয়া।
ম্যাক্সার টেকনোলজির দেয়া স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, কিয়েভের দিকে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর জড়ো হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার প্রথম পাঁচ ঘন্টার আলোচনায় কোনো সমাধান না আসলেও উভয় পক্ষই আরেকটি বৈঠকে সম্মত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে তাকে পিছু হটতে বাধ্য করতে ধাপে ধাপে গোলাবর্ষণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোমবার এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি রাশিয়া এই সহজ পদ্ধতিতে (ইউক্রেনের ওপর) চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে। ’
আরও পড়ুন: রাশিয়ান কামানের গোলায় ৭০ সেনা নিহতের দাবি ইউক্রেনের
তিনি সোমবার অনুষ্ঠিত আলোচনার বিশদ বিবরণ দেননি, তবে তিনি বলেন কিয়েভ ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
আক্রমণের ষষ্ঠ দিনে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর প্রচণ্ড প্রতিরোধ ও আকাশসীমায় আধিপত্য বিস্তারের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। ইতোমধ্যে অনেক ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক আশ্রয়কেন্দ্র, বেসমেন্ট বা করিডোরে আশ্রয় নিয়েছেন।
পুতিনের একজন শীর্ষ সহযোগী এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেছেন যে আক্রমণের পর উভয় পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম আলোচনার সময় রাষ্ট্রদূতরা কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট খুঁজে পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, তারা আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।
পুতিনের একজন শীর্ষ সহযোগী এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেছেন, ‘অভিযানের পর উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথম আলোচনা প্রায় পাঁচ ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল এবং প্রতিনিধি ‘কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট খুঁজে পেয়েছেন। তারা আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে ১২ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে গোলাবর্ষণ, কিয়েভে বিস্ফোরণ
২ বছর আগে
গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আবারও তাদের গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এপির এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এসময় এপি কমপক্ষে ৪০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে, সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, স্যাটেলাইট থেকে তথ্য নিয়ে এবং মৃতের সংখ্যা পর্যালোচনা করে।
এপির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সেনাবাহিনী একদিকে যেমন দেশের বেসামরিক নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিরোধী দলগুলোর ওপরও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি জান্তাবাহিনী দেশের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির কিশোর, তরুণ, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নিষ্ঠুরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সেনাবাহিনীর এ ধরনের গণহত্যা ও নগ্ন হিংস্রতার চিত্র উঠে এসেছিল দেশটির মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন থেকে। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা সেসময় প্রাণ হারান।
গত ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের কারেন্নি নৃগোষ্ঠীর ৩৫ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এ হত্যাকাণ্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী এপিকে জানিয়েছেন, হত্যার পর অজ্ঞাত পরিচয়ের অনেক নারী, পুরুষ ও শিশুর লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
কিন্তু বর্তমানে সেনবাহিনী তাদের বৌদ্ধ বামার সম্প্রদায়ের মানুষের ওপরও একই ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বৌদ্ধ বামার জনবহুল অংশেও সেনাবাহিনীকে ব্যাপক গণহত্যা চালাতে দেখা যাচ্ছে।
মিয়ানমারে রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তা সংস্থার (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট থেকে শুধুমাত্র সাগাইং অঞ্চলে তিন বা তার বেশি হত্যাকাণ্ডে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এই মৃত্যু প্রবণতার হিসাবে সাগাইংকে মিয়ানমারের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত করেছে৷
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ‘সেনাবাহিনীর হামলা’য় সেভ দ্য চিলড্রেনের ২ কর্মী নিখোঁজ
এছাড়া বিরোধীদের সমর্থন থাকতে পারে এমন গ্রাম পুরো ধ্বংস করার জন্য আগুনে জ্বালিয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে প্রাপ্ত উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর থেকে শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর থান্টলাং-এ ৫৮০ টিরও বেশি বাড়ি পুড়ে গেছে।
এএপিপির তথ্য যাচাইয়ের জন্য এপি কয়েক ডজন সাক্ষী, নিহতদের পরিবারের সদস্য, পদত্যাগ করেছিলেন এমন একজন সামরিক কমান্ডার, মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। এছাড়াও স্যাটেলাইট ইমেজ এবং কয়েক ডজন ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করেছে এপি।
তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা সম্ভবত প্রকাশিত মৃতের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি। কারণ সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, এবং তখন ওইসব অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়; যাতে করে নিপীড়নের তথ্য প্রকাশ না হতে পারে।
কিয়াও মো টুন, যিনি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পরে মিয়ানমারের জাতিসংঘের দূত হিসেবে তার অবস্থান ছাড়তে অস্বীকার করেছিলেন; তিনি বলেছেন এই মুহুর্তে সারা দেশে একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অংশে ব্যাপক গণহত্যা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি এপিকে আরও বলেন, গণহত্যার ধরন দেখুন। তারা যেভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে, তাতে বোঝা যায় এগুলো পূর্বপরিকল্পিত ও ভয়াবহ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর গবেষক ম্যানি মং বলেছেন, কতটা নির্লজ্জভাবে এইসব হামলা করা হয়েছে তাতে সত্যিই বোঝা যায় যে আমরা আগামীতে; বিশেষ করে আগামী বছর অনেক সহিংসতার মুখোমুখি হবো।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বহালে খোলা চিঠি
২ বছর আগে
নতুন টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন
চীন তাদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশের জিচাং স্যাটেলাইট লঞ্চ কেন্দ্র থেকে একটি নতুন মোবাইল টেলিযোগযোগ স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপন করেছে।
৩ বছর আগে
সফলভাবে ১০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে ভারত
করোনা মহামারির মধ্যেই শনিবার সফলভাবে অত্যাধুনিক আবহাওয়া আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট (ইওএস-০১) ও বিদেশি ৯টি আন্তর্জাতিক উপগ্রহসহ একসাথে ১০টি স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছে ভারত।
৪ বছর আগে
এক রকেটে ১৩ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন
উত্তরাঞ্চলের শানসি প্রদেশের তাইয়ুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শুক্রবার সফলভাবে ১৩টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে চীন।
৪ বছর আগে