বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত আক্কাস আলীর স্ত্রী নাজরিন আক্তার।
তিনি বলেন, তারাবি নামাজের ঈমামের বেতন ৩০০ টাকার মধ্যে ৫০ টাকা কম দেয়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যায় রতন মোস্তাক ও তার পরিবারের লোকজন আক্কাস আলী ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত আক্কাস ও ভাগিনা সুমনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আক্কাস মারা যায়। সুমনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
হামলার সময় শফি মেম্বার আক্কাসের গর্ভবতী স্ত্রী নাজরিন আক্তারের পেটে লাথি মারেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ঘটনার দিনই এলাকাবাসী অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ঘটনার দিন রাতে রাজারহাট থানায় ১৭ জনকে আসামি করে নিহতের ভাই খোরশেদ আলম হত্যা মামলা করলেও জনতার ধরে দেয়া তিনজন ছাড়া মূল আসামি এএসআই রতন মোস্তাকসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা হালিমা বেওয়া, ভাই আতিকুর রহমান, আব্দুল গণি, হানিফ আলী, সহিদার রহমান ও ভাতিজা রওশন আলী উপস্থিত ছিলেন।