দ্বিতীয়বারের মতো ঘোষিত লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বুধবার শহরের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ অভিযান চালিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাট খুলতে দেয়নি। বাজার সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমি ও আমার প্রশাসন লক্ষ্মীপুরবাসীর কল্যাণে কাজ করছি। বাজার বন্ধ হয়ে ব্যবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি হলেও এক একটা মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই আমরা মরণব্যাধি করোনাভাইরাস থেকে জেলার হাজার হাজার নারী-পুরুষের জীবন রক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুরে পুনরায় লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি। এ আইন অমান্য করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করা হবে।’
পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর শহরে লকডাউন চলতে থাকবে। পুলিশ বিভাগ লকডাউনকে সফল করর জন্য অত্যান্ত দৃঢ়তার সাথে কাজ করছে।
শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও যারা দোকানপাটে আড্ডা দিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করবে তাদেরও পুলিশ খবর পেলে প্রতিহত করবে, বলেন তিনি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রামক ঝুঁকি মোকাবেলায় ‘করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি, লক্ষ্মীপুর’র সভার সিদ্ধান্ত ও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনাক্রমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী জেলাকে পুনরায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জেলার অভ্যন্তরে উপজেলাগুলোর মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে বলে বলা হয়েছে।
এছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম আগের মতো বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য, শিশুখাদ্য পরিবহনে নিয়োজিত পরিবহন, কৃষিপণ্য উৎপাদন, মৎস্য সরবরাহ ও সংগ্রহ এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এদিকে, লক্ষ্মীপুরে নতুন করে এক চিকিৎসকসহ ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১০ জন।
বুধবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফ্ফার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।