বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৬৫) মারা যান।
জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ বেশ কিছু দিন আগে তাবলীগ জামাত দলের সাথে কুষ্টিয়া এলাকায় যান। চিল্লা শেষে ৫ এপ্রিল নিজ গ্রামে আসেন। কুষ্টিয়া এলাকা থেকে আসার পর বাঘা উৎসব পার্কের পাশে এক মাদরাসায় তিনি কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে তাবলীগ জামাতের সাথে ৬ মাস আগে ভারতের চেন্নাই গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখান থেকে ফিরে তিনি কুষ্টিয়া এলাকায় তাবলীগ জামাত শেষে নিজ বাড়ি ফেরার তিনদিন পর তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর পর ভয়ে লাশের পাশে কেউ যাচ্ছিল না। মৃতের লাশটি ৫ ঘণ্টা ওই মাদরাসার এক কক্ষে পড়ে থাকার পর পরিবারের লোকজন লাশ দাফনের জন্য প্রস্তুতি নেন।
আবুল কালাম আজাদের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও সুলতান জানান, তার বাবার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আলাদাভাবে রাখা হয়েছিল।
তবে স্থানীয়দের ধারণা তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন কি না।