এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কারিগরি ও আর্থিক সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ও দলিলপত্র প্রস্তুত করার জন্য বিসিআইসির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, চাওয়া হয়েছে পাঁচ ধরনের তথ্য ও প্রতিবেদন।
কেডিএ’র দেয়া ৩০টি প্লট বাতিলের দাবি জানিয়ে খুলনা আ’লীগের বিবৃতি
বিসিআইসি ও মিল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের (কেএনএম) অবশিষ্ট জমি এবং খুলনা হার্ডবোর্ড মিলের (কেএইচবিএম) প্রায় ৪০ একর জমিতে একটি সালফিউরিক এসিড, ফসফরিক এসিড, এলাম প্ল্যান্ট বা পেপার মিল বা অন্য কোনো কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিসিআইসি মহাব্যবস্থাপক শেখর ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নতুন প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিভিন্ন দলিলপত্র প্রস্তুত করতে পাঁচ ধরনের তথ্য এবং প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
পাঁচ তথ্যের মধ্যে রয়েছে- ডিজিটাল সার্ভে রিপোর্ট, সয়েল টেস্ট রিপোর্ট, ওয়াটার অ্যানালাইসিস রিপোর্ট অব সারফেস ওয়াটার (নদীর পানি) এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার (গভীর নলকূপ), সংলগ্ন নদী ও মোংলা বন্দরের নাব্যতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং পেপার মিল স্থাপনের জন্য বনায়নের ক্ষেত্রে উপযোগী তৎসংলগ্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি থাকলে তার বিস্তারিত বিবরণসহ প্রতিবেদন।
মুজিববর্ষে নতুন ঘরসহ জমি পাচ্ছে খুলনার ৯২২ পরিবার
খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক একরাম উল্লাহ খন্দকার জানান, নতুন কারখানা স্থাপনের বিষয়ে বিসিআইসি অত্যন্ত তৎপর। খুলনার উন্নয়নে নতুন কিছু করার লক্ষ্যে কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
ষাটের দশকে নগরীর খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের ভৈরব নদের তীরে গড়ে ওঠে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল। বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর সাইরেন বাজিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয় এ মিলটি।
ভাসমান সবজি চাষে সাবলম্বী খুলনার ভূমিহীন কৃষকরা
অপরদিকে, খুলনা হার্ডবোর্ড মিল দেশের একমাত্র সরকারি হার্ডবোর্ড কারখানা। ১৯৬৫ সালে ভৈরব নদের তীরে কানাডা সরকারের একটি সাহায্য সংস্থার সহায়তায় কারখানাটি স্থাপিত হয়। কারখানার প্রধান কাঁচামাল ছিল সুন্দরবনে উৎপাদিত কাঁচা সুন্দরী জ্বালানি কাঠ। কিন্তু মূলধনের অভাব এবং কাঁচামাল সংকটে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে মিলটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।