আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার থেকে খুলনায় ভার্চুয়াল আদালত চালু হলেও বুধবার থেকে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানি শুরু হয়েছে।
এদিকে, ভার্চুয়াল আদালত চালুর পর আইনজীবীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এখানে মামলা ফাইল করার পদ্ধতি, আত্মসমর্পণকারী আসামি জামিন না পেলে জেলে নেয়ার বিধান, রায়ে খালাস না পেলে আসামিকে কী উপায়ে জেলে নেয়া হবে, সাক্ষীর জেরা চলমান অবস্থায় ডকুমেন্ট প্রদর্শন করার বিধান, ওকালতনামা আদালতে দাখিলের উপায় প্রভৃতি বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম মুজিবর রহমান বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে বেশিরভাগ আইনজীবী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তবে, বেশি বিড়ম্বনায় পড়ছেন বয়স্ক আইনজীবীরা।’
তবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ভার্চুয়াল আদালতের নিয়মটি খুব সহজ। কিন্তু আমরা এতে খুব একটা অভ্যস্ত না বলে কেউ কেউ একটু অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। তবে, দু-এক দিনের মধ্যে তারা এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।’
তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে ৬-৭টি জামিন হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভার্চুয়ালভাবে নারী ও শিশু আদালত এবং দেওয়ানি আদালত বাদে অন্যান্য আদালত চলছে। শিগগিরই ওই দুটি আদালতও চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের আইনজীবীদের জন্য ২০টি কম্পিউটার রয়েছে। যারা তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে রয়েছেন তারা এর সহায়তা নিতে পারবেন,’ যোগ করেন তিনি।