সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতা ও জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মসজিদ থেকে বের করে ব্যবসায়ীকে হত্যা: কাউন্সিলর আলমগীর কারাগারে
বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মসজিদ থাকলেও একই স্থান থেকে বিভিন্ন ইসলামিক কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো মডেল মসজিদ নেই। তাই এ ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে খুলনা আলিয়া মাদরাসা ও বিভাগীয় কমিশনার অফিসসহ ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, রূপসা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, কয়রা, তেরখাদা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা বিশিষ্ট এসব মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি টাকা অর্থাৎ নয় উপজেলায় নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে মোট ১১৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ মামলায় আত্নসমর্পণের দিনই ২২ আসামির জামিন
এছাড়া, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা অর্থাৎ আলিয়া মাদরাসা ও বিভাগীয় কমিশনার অফিসে দুটি মসজিদ নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা। চার তলা বিশিষ্ট এ দুটি মসজিদে থাকবে রেস্টরুম, লাইব্রেরি, গাড়ি পার্কিং ও লিফট, একসাথে এক হাজার পুরুষ ও নারী মুসল্লির আলাদা নামাজের ব্যবস্থাসহ দৃষ্টিনন্দন নানা পরিকল্পনা। চলতি বছরের মধ্যেই এসব মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলিয়া মাদরাসায় জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শতকরা ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হলেও বিভাগীয় কমিশনার অফিসসহ বাকি নয় উপজেলায় ১০ মসজিদ নির্মাণ কাজ অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। বিভাগীয় কমিশনার অফিস, ডুমুরিয়া, রূপসা, ফুলতলা, তেরখাদা, দাকোপ ও পাইকগাছায় কাজে মাত্র গড়ে শতকরা ১৫ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। আর বটিয়াঘাটা ও কয়রা উপজেলায় এখনও কাজ আরম্ভ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: ২৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা
উপজেলাগুলোতে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বটিয়াঘাটা ও কয়রায় ডিাজাইন হাতে না পাওয়া, স্থান নির্ধারণ, জমি অধিগ্রহণ ও পুরনো স্থাপনা অপসারণ জটিলতার কারণে কাজ আরম্ভ করা সম্ভব হয়নি। তবে অন্য উপজেলাগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা গণপূর্তের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সমীর কুমার বিশ্বাস জানান, আলিয়া মাদরাসায় জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে ৮৫ ভাগ ও রূপসায় ৩৫ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে।