প্রধান আসামি করা হয়েছে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর মিয়াকে (৬০)। তবে অভিযোগপত্র থেকে সাময়িক বাদ দেয়া হয়েছে তিতাস গ্যাসের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
নারায়ণগঞ্জ আদালতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নারায়ণগঞ্জ শাখার তদন্ত দল।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণ মামলায় সভাপতি গ্রেপ্তার
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সামসুদ্দিন সরদার (৬০), শামসু সরদার (৫৭), শওকত আলী (৫০), অসিম উদ্দিন (৫০), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪৫), নাঈম সরদার (২৭), তানভীর আহমেদ (৪৫), আল আমিন (৩৫), আলমগীর সিকদার (৩৫), আলহাজ্ব মাওলানা আল আমিন (৪৫), সিরাজ হাওলাদার (৫৫), নেওয়াজ মিয়া (৫৫), নাজির হোসেন (৫৬), আবুল কাশেম (৪৫), আব্দুল মালেক (৫৫), মনিরুল (৫৫), স্বপন মিয়া (৩৮), আসলাম আলী (৪২), আলী তাজম মিল্কী (৫৫), কাইয়ুম (৩৮), মামুন মিয়া (৩৮), দেলোয়ার হোসেন, বশির আহমেদ হৃদয় (২৮), রিমেল (৩২), আরিফুর রহমান (৩০), মোবারক হোসেন (৪০) ও রায়হানুল ইসলাম (৩৬)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণে আরেক মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
সিআইডি নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় তিতাসের গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আপাতত চার্জশিটে লিপিবদ্ধ করা না হলেও তাদের মামলায় রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন পেলেই তাদের আসামি হিসেবে চার্জশিটে সম্পৃক্ত করা হবে। সাময়িকভাবে তাদের আমরা চার্জশিটে সম্পৃক্ত করিনি।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ প্রদানকারী গ্রেপ্তার
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মসজিদের অভ্যন্তরে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ থেকে স্ফুলিঙ্গ ও অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের মিশ্রণে এ বিস্ফোরণ হয় বলে জানায় সিআইডি। এ বিস্ফোরণে ৩৪ জনের মৃত্যুসহ আরও ১৫ জন দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: তিতাসের ৮ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
মর্মান্তিক এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। তিতাস গ্যাসকে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেয়ার জন্য উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে সেই আদেশ স্থগিত করা হয়।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও ডিপিডিসির পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ: তিতাস, ডিপিডিসি, মসজিদ কমিটি দায়ী
বিস্ফোরণের ঘটনার পর দিন ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।