ভারতে পাচারের সময় এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে পাচারকারী ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবনচরা থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন- খুলনার খালিশপুর এলাকার স্বর্ণ পাচারকারী ব্যাসদেব দে, লবনচরা থানার এসআই মোস্তফা জামান, এএসআই আহসান হাবীব ও কনস্টেবল মুরাদ।
তারা তিনজনই লবনচরা থানায় কর্মরত ছিলেন।
তাদের নামে লবনচরা থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মোকলুকুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাসদেব দে একজন পেশাদার সোনা পাচারকারী। শুক্রবার দুপুরে তিনি ছয়টি সোনার বার ভারতে পাচারের জন্য টুঙ্গিপাড়া পরিবহনে করে সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন। পরিবহনটি খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে থামিয়ে তল্লাশি চালান অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে পরিবহন থেকে ব্যাসদেব দে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিন পুলিশ সদস্য তাকে আটক করেন।
পরে তার কাছে থাকা ছয়টি সোনার বারের মধ্যে তিনটি ছিনিয়ে নেন তারা। বাকি তিনটি তাকে দিয়ে দেন এবং মোটরসাইকেলে করে তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেন। ছিনিয়ে নেওয়া তিনটি সোনার বারের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: নরসিংদী-৪ আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগে আ.লীগ প্রার্থীর ছেলেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ ইসির
মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ব্যাসদেব। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতার স্বীকার করেন। তখন অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সোনা পাচারকারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: ধুনটে বার্মিজ চাকুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার