এক মাসের ব্যবধানে গাংনী থানা থেকে মাত্র তিনশ গজ দূরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবারও গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন পথচারীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতদল।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী-ধানখোলা সড়কের বিল্লাল নার্সারির কাছে হারেজ মোড়ে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের কাছে হাতবোমা ও দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
২০ জন পথচারীর কাছ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা লুট করেছে ডাকাতদল। ভুক্তভোগীদের বাড়ি গাংনী উপজেলার ধানখোলা, মহিষাখোলা ও আড়পাড়া এলাকায়।
ভুক্তভোগী ইয়াসির আরাফাত আলীর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা, আব্দুল হালিমের কাছ থেকে ৬০০ টাকা, শাহজামাল আলীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, রেজিয়া খাতুনের কাছ থেকে ৭০০ টাকা, মিন্টু হোসেনের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা, মহব্বত আলীর কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, মিন্টু আলীর কাছ থেকে পৌনে ১০ হাজার টাকা, কুরসিয়া খাতুনের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকাসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, সাত/আটজনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ রাস্তা অবরোধ করে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা পথচারী অন্তত ২০ থেকে ২৫ জনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
খবর পেয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ডাকাতি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।’
এদিকে এমন ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত পুলিশি টহল জোরদার ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হাতবোমা ফাটিয়ে গণডাকাতি
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতি হয়। কয়েকদিন পর পাশের পুড়াপাড়া-জুগিন্দা সড়কেও একই ঘটনা ঘটে। এভাবে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গাংনী থানা পুলিশের ডিএসবি শাখার অধিকাংশ সহকারী উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবল তাদের মূল কাজ ফেলে পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে দেনদরবার ও দোসরদের সঙ্গে চামচামি করে সময় কাটিয়ে থাকেন।
বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এবং জেলা বিশেষ শাখায় দায়িত্বরত অফিসারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।