ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় শ্রমিক ও পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, দিগন্ত সোয়েটার কারখানায় জ্যাকার মেশিন বসানোকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে সম্প্রতি ছাঁটাই আতঙ্ক দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। মঙ্গলবার মালিক পক্ষ পুলিশের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়। কিন্তু বুধবার সকালে শ্রমিকরা দিগন্ত কারখানায় কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সেকশনে মেশিনের লাইট, মেশিন ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা আন্দোলনে নেমে নির্বিচারে ভাঙচুর চালায় এবং ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে।
এক পর্যায়ে শ্রমিকরা মিছিল সহকারে বের হয়ে পাশ্ববর্তী কোস্ট টু কোস্ট কারখানায় হামলা চালায়। এ সময় তারা কারখানার মূল ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে তারা ভবনের কাঁচ, আইটি সেকশনের কম্পিউটার, মেশিনপত্র ভাঙচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি বাইরে ফেলে দেয়। পরে তারা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, পিকআপসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
শ্রমিকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করে এবং তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
সকাল ১০টার দিকে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে মেশিনপত্র তছনছ করেছে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সকাল ৮টার দিকে তারা আন্দোলনে নামেন।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দিগন্ত সোয়েটার কারখানার মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের ঝামেলার কারণে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’