এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা বৃহস্পতিবার থেকে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
স্থানীয় টনকি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কুমিল্লার নারী ও শিশু আদালতে মামলাটি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এক অটোরিকশা চালকের স্ত্রী একটি ঘরের জন্য আবেদন জানান মজিবুর রহমানের কাছে। এরই সূত্র ধরে ওই গৃহবধূকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর দেয়ার আশ্বাসে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করে তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন মজিবুর রহমান।
এক পর্যায়ে নানা কৌশলে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। সর্বশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
তবে মজিবুর রহমান বলেন, ‘এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ওই গৃহবধূকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। আমি ওই গৃহবধূকে চিনি না। এসব ঘটনার সাথে জড়িত নই। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বিরুদ্ধে একে একে চারটি মামলা দিয়েছে। তদন্তেই সত্য উদঘাটন হবে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পিবিআই কুমিল্লার উপপরিদর্শক মো. শামীম মিয়া বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’