চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হিসেবে আসছে দুটি জলহস্তী। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে জলহস্তী জোড়া আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
এর পরিবর্তে ঢাকা চিড়িয়াখানাকে দেওয়া হচ্ছে এক জোড়া বাঘ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জলহস্তী রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন খাঁচা।
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
দিন দিন দেশ বিদেশের বিচিত্র সব পশু-পাখিতে সমৃদ্ধ হওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত মোট ৬৮ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে।
কুমিরের আগের জায়গায় নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি জলহস্তীর বাসস্থান। আর কুমিরের খাঁচা তৈরি করা হয়েছে পাহাড়ের পশ্চিম পাশে লেকের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে এক জোড়া জলহস্তী। বিনিময়ে ঢাকা চিড়িয়াখানাকে দেওয়া হচ্ছে এক জোড়া বাঘ। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৬টি বাঘ আছে।
চলতি বছর ১৬ মার্চ চট্টগ্রাম আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এক জোড়া সিংহ। একই সময় আনা হয় চার জোড়া ওয়াইল্ড বিস্ট।
দরপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকায় সিংহ, ম্যাকাও, ওয়াইল্ড বিস্ট, ক্যাঙ্গারু ও লামা আমদানি করা হয়। ফ্যালকন ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রাণীগুলো আমদানি করে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মোহাম্মদ বলেন, দুই দশক আগে মৃতপ্রায় এই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য আনা হয়েছে ম্যাকাউ, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, ওয়েলবিস্ট ও লামাসহ অনেক প্রাণী। জলহস্তী যুক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২০টিতে।
৩৪ বছর বয়সী এই চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে। এর মধ্যে- ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী আছে। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে।
প্রতিদিন এই চিড়িয়াখানায় ৪-৫ হাজারের মতো দর্শনার্থী আসছেন। আর শুক্র ও শনিবারসহ যে কোনো বন্ধের দিনে তা ১০ হাজার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি আফ্রিকার ২ সিংহ ও ৮ ওয়াইল্ড বিস্ট