চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার রৌফাবাদ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ফাতেমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর ওই গৃহবধূর স্বামীকে স্থানীয়রা আটক করলেও তিনি কৌশলে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে পাহাড়িকা হাউজিংয়ের এফজেড টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১১ খণ্ডে বিভক্ত লাশটি উদ্ধার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।
নিহত ফাতেমা আক্তার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মো. কামাল উদ্দিনের মেয়ে। তিনি সুমন (২৫) নামে এক গাড়িচালকের স্ত্রী। তাদের ঘরে সিফাত নামে একটি ছোট্ট সন্তান রয়েছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, গতকাল (বুধবার) রাত দেড়টার দিকে প্রতিবেশীরা ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফাতেমা আক্তারের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমাকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ একাধিক টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন জানান, পাহাড়িকা আবাসিক এফজেড টাওয়ারের দশম তলায় বসবাস করতেন স্বামী সুমন ও ফাতেমা আক্তার। ঘটনাস্থল থেকে একটি বটি ও একটি চাপাতি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা গতকাল রাতে নিহত গৃহবধূর স্বামীকে ধরে একটি বাড়িতে আটকে রাখেন। কিন্তু সেই ঘরের জানালার গ্রিল কেটে তিনি পালিয়ে যান।