স্বামী পলাতক
কোম্পানীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে রুবিনা বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী জুবের আহমদ পলাতক রয়েছেন।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের আবুল হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকতেন এই দম্পতি।
রুবিনা বেগম গোয়াইনঘাট উপজেলার রাউতগ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে। তার স্বামী একই উপজেলার লাবুগ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ১২টার পর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অন্য ঘর দিয়ে তার রুমে প্রবেশ করেন। তারা রুবিনাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার সকাল ৯টায় কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক রুবিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, নিহতের পরিবারকে খবর দিয়ে গোয়াইনঘাট থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বামীকে আটক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
৭ মাস আগে
গাজীপুরে নারী পোশাককর্মীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার ইসলামপুর এলাকায় এক নারী পোশাক শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সীতা বেগম (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার কাটাখালী গ্রামের সারোয়ার হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর এলাকায় স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে স্থানীয় শামসুর রহমানের বাসা ভাড়া নেন সীতা বেগম। ওই বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি। মঙ্গলবার তার কক্ষ থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিটকিনি লাগানো ঘর থেকে সীতা বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- সীতা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা জানা যায়নি। পলাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। এ ব্যাপারে মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
মিরসরাই থেকে ফেনীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও থেঁতলিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও পরে মসলা বাটার পুতা দিয়ে থেঁতলিয়ে হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ভোরে শ্রীপুরের চন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা আক্তার (৩০) নেত্রকোণা জেলার সদর থানার গাবরাগাড়ি ইউনিয়নের পাটালি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বাবা-মেয়ে নিহত
স্বামী আল আমিন (৩৪) কুমিল্লার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে এবং গাজীপুরে শ্রীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় বছর আগে প্রেম করে কুমিল্লার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি গ্রামের গফুর মিয়া ছেলে আল আমিনের (৩৪) সঙ্গে বিয়ে হয়। পরে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরে শ্রীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে কাজ করতেন তারা। তাসলিমার সঙ্গে স্বামী আল-আমিনের প্রায় সময়ই নানা বিষয়ে কথা কাটাকাটি হতো।
বুধবার ভোরে তাসলিমাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পুতা দিয়ে থেঁতলিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে ফোন করে আল-আমিনের ভাইকে তাসলিমার অসুস্থতার কথা জানালে তাৎক্ষণিকভাবে রুমের সামনে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে বন্ধ দেখতে পায়। পরে দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করলে তাসলিমার লাশ দেখতে পায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে স্পিনিং মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও মাদক জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। রবিবার সকালে নগরের পূবাইল থানাধীন করমতলা এলাকার সুমনের ভাড়া বাড়ি থেকে এই লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নাজমা (৩৫) সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার জালালপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী ফারুকের সঙ্গে স্থানীয় ‘নেক্সট কম্পোজিট গার্মেন্টস’-এ অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
নিহত নাজমার বাবা জানান, প্রায় দুই বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার তেলিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ওমর ফারুককে বিয়ে করে। তিনি গত শনিবার সকালে মেয়ের খবর নেয়ার জন্য ভাড়া বাসায় গেলে তার জামাতা ফারুক রুমের দরজার সামনে থেকে সুকৌশলে কথা বলে এবং জানায় আমার মেয়ে ঘুমাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
পরে জানায়, তাদের দু’জনের অফিস ছুটি নারায়ণগঞ্জ কোনো আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাবে। তিনি ওই দিনই দুপুরে মেয়ের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে রুম তালাবদ্ধ দেখতে পান। রবিবার সকালে ভাড়া বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পায় রুমের এক পাশে আমার মেয়ে পড়ে আছে। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমের তালা খুলে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান,ভুক্তভোগীর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তে রঞ্জিত। ধারণা করা যাচ্ছে যে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে খুন করে স্বামী রুমে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পলাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরে এক নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হালিশহরে পানির ট্যাংক এলাকার ৪ নম্বর রোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে নিহত রাবেয়া খাতুনের (৫০) স্বামী মোহাম্মদ জামিন (২৯) পলাতক রয়েছে।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির উদ্দিন জানান, পারিবারিক ঝগড়ার সময় স্বামী তার স্ত্রীর গলায় ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। আহত অবস্থায় রাবেয়া নামে এ নারীকে হালিশহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদ জামিন ঘটনার পর পালিয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গলা কেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
স্থানীয়রা জানান, এ-ব্লক ৪ নম্বর রোডে টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতো ভাঙ্গারী (পুরানো জিনিসপত্র) ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জের মোহাম্মদ জামিন। ৯ মাস পূর্বে হাটহাজারীর রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
জানা গেছে, জামিনের সংসারে বাচ্চা নেয়ার বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের ঝগড়া চলছিল। জামিন বাচ্চা নেয়ার পক্ষে থাকলেও রাবেয়া এতে রাজি ছিল না।
স্থানীয়রা জানান, আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে জামিন রাবেয়ার গলা কেটে দেয়। রাবেয়া এ অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যায়। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ভিক্ষুককে গলা কেটে হত্যা
নড়াইলে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যা
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পশ্চিম পলাশবাড়ী গ্রামে বুধবার নিজ ঘর থেকে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মো. মোখলেছুর রহমান পলাতক রয়েছেন।নিহত মোছা. শাহেরা বেগম (৩৫) ওই ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধার পর নিহতের ছেলে শামীম কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে তালা ভেঙ্গে তার মাকে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিহত শাহেরা বেগম ও তার স্বামী মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে বলে ধারণা তাদের।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করা নিয়ে বিরোধে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
নিহতের মায়ের দাবি, 'পারিবারিক কলহের জেরে শাহেরার স্বামী তাকে গলাকেটে হত্যা করে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়েছে। খবর শুনে এসে মেয়ের গলাকাটা লাশ দেখতে পাই। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।'
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো.মাহফুজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: জকিগঞ্জে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন!
পুরান ঢাকায় ‘ডাকাতি’, বৃদ্ধ খুন
১ বছর আগে
যশোরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
যশোরের অভয়নগরে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ ফেলে রেখে স্বামীর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের ইসলামপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম চন্দনা রায় (৩২) এবং স্বামীর নাম মন্টু মণ্ডল। তাদের এক মেয়ে ও এক সৎ ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াল নদীতে নিখোঁজ বাগানকর্মীর লাশ উদ্ধার
নিহতের মেয়ে কনা মণ্ডল জানায়, ঘটনার দিন আমি মণিরামপুর উপজেলায় মামার বাড়ি ছিলাম। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি মায়ের লাশ পড়ে আছে, বাবা বাড়িতে নেই। আমার মাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের বারন্দায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি আমার মায়ের খুনির ফাঁসি দাবি করছি।
নিহতের সৎ ছেলে সজীব মণ্ডল জানায়, শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মা ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। আমি আর বাবা ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বারন্দায় আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের লাশ ঝুলতে দেখা যায়। এসময় আমি আর বাবা মায়ের লাশ নামিয়ে খাটের ওপর রাখি।
পরে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে জানতে পারি ইসলামপাড়ায় রফিক গাজীর ভাড়াটিয়া আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশ খাটের উপর চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এসময় আত্মীয়রা থাকলেও নিহতের স্বামী মন্টু বাড়িতে ছিলেন না। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও নৌকার সংঘর্ষ: নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
নেত্রকোণায় কলপাড় থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
নেত্রকোণার পূর্বধলায় সমলা খাতুন (৩৭) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ই অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের হাটকান্দা দক্ষিণপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির কলপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পর থেকে তার স্বামী সাদেক মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর তার ছেলে ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে আনুমানিক রাত ১২টার দিকে ঢাকার শ্রীপুর সাপলাইট গ্রিন টেক্সটাইল থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়ে সমলা বাড়ি আসেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
ভোরে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সামনের কলপাড় থেকে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সোয়া ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সকালেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটির থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় নেত্রকোণা সদর সার্কেল এ এস পি মোর্শেদা খাতুন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি রহস্যজনক মৃত্যু। রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলমান আছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: সীতাকুণ্ডে আরও একজনের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
তাড়াশে গৃহবধূকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে আটক ২, স্বামী পলাতক
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গৃহবধূকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার চক ঝুরঝুরি গ্রামে এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী পলাতক আছে।
নিহত নাসিমা খাতুনের (২৩) ওই এলাকার সুমনের স্ত্রী এবং তাড়াশ উপজেলার কস্তা বেত্রাশীন গ্রামের কহের সরকারের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নাসিমার সঙ্গে সুমনের সাত-আট বছর আগে বিয়ে হয়। এরমধ্যে তাদের সংসারে দুটি সন্তানের জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
বেশ কিছুদিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে নাসিমার পারিবারিক দ্বন্দ শুরু হয়। এ অবস্থায় সুমন কিছুদিন আগে নাসিমাকে চাকরির জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে তারা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে আসে এবং দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাসিমাকে সুমন ও তার তিন সহযোগী বাড়ির পাশের একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রথমে জোর করে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ায় এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এ সময় প্রতিবেশি সমেজ আলী শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সুমন ও তার সহযোগীরা নাসিমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে গেলেও তার শ্বশুর-শাশুড়ি গেট খোলেনি।
এ সময় নাসিমা গ্রামবাসীর কাছে তার স্বামী সুমন ও অপরিচিত তিনজন লোক তাকে খুন করার চেষ্টা করেছে বলে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
নাসিমার এমন করুণ মৃত্যুর পর গ্রামবাসী শ্বশুর-শাশুড়িকে অবরুদ্ধ করে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গভির রাতে শ্বশুর সরোয়ার হোসেন (৫৫) এবং শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে (৫০) পুলিশ আটক করলেও স্বামী সুমন পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক আটক
গাজীপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৩
২ বছর আগে
বাগেরহাটে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে ‘হত্যা’, স্বামী পলাতক
পারিবারিক কলহের জের ধরে বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শ্যামবাগাত গ্রামে ওই নারীর বাবার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আরিফা বেগম (১৮) খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনাটি গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী। অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন পেশায় অটোচালক। তাদের এক বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত আরিফা বেগমের শাশুড়ি লিপি বেগম (৪০) ও সৎ মা জাহান বেগমকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম জানান, গত শুক্রবার আরিফা বেগম এক বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ফকিরহাটের শ্যামবাগাত গ্রামে তার বাবা বাসায় চলে আসে। পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাতে তার স্বামী লোকজন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি ও সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে হেলাল উদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত আরিফা বেগমের পরিবারের অভিযোগ, ২০১৩ সালে আরিফা বেগম ভালোবেসে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ইউসুফ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নানাভাবে তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রায় সময় আরিফা স্বামীর বাড়ি থেকে তার মায়ের ভাড়া বাসায় চলে আসতো। গত শুক্রবার আরিফা ছেলেকে সাথে নিয়ে তার বাবা বাসায় চলে আসে। সোমবার রাতে আরিফার স্বামী শ্বশুরবাড়িতে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
৩ বছর আগে