একই রায়ে পৃথক ধারায় ওই আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী এই রায় দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বান্ডেল রোডের ভবনের তৃতীয় তলার বাসায় নুরজাহান বেগম তার ছেলে ফারুক হোসেন ও গৃহপরিচারিকা পপিকে নিয়ে থাকতেন। ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট রাত সোয়া ১০টার দিকে ফারুক বাসায় ঢুকে মেঝেতে রক্তমাখা অবস্থায় তার মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ভেতরের আরেকটি কক্ষে গিয়ে দেখেন পপির রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে।
এ ঘটনায় নিহত নুরজাহানের ছেলে ফারুক হোসেন অজ্ঞাতদের আসামি করে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলা তদন্ত করে আসামি শনাক্ত করে হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালত আসামি সোলায়মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা চলার পর বুধবার রায় ঘোষণা করা হয় বলে জানান তসলিম উদ্দিন।